ভারত তথা পৃথিবীর সবচাইতে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। আর মুকেশ আম্বানির স্ত্রী হলেন নীতা আম্বানি (Neeta Ambani)। দুজনেই একেবারে নিখুঁত জুটি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন। বর্তমানে তিন জন সন্তান রয়েছে তাঁদের। যার মধ্যে আকাশ ও আনন্দ নামের দুই ছেলে ও ঈশা নামের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে জানেন কি মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির বিয়ে বা প্রেমের কাহিনী কোনো সিনেমার গল্পের চাইতে কোনো অংশে কম নয়।
বিশ্বের সবচাইতে ধনী মুকেশ অম্বানিকে বিয়ে করার আগে শর্ত দিয়েছিলেন নীতা আম্বানি। কি শুনে অবাক হলেন বুঝি? এমন বড়লোক বর যেখানে সকলে চায়, সেখানে বিয়ের আগে শর্ত! আজ আপনাদের মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির বিয়ের কিছু তথ্য জানাবো বন্ডট্রেন্ডের পেজে।
নিজেদের বিয়ে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির নিজেই। যেমনটা জানা যায় ছেলের জন্য মা কোকিলাবেন পছন্দ করেছিলেন নীতা অম্বানিকে। একটি অনুষ্ঠানের নীতা ভারত নাট্যম নাচ নেচে ছিলেন। সেই নাচ দেখেই তাকে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। এরপর মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরু ভাই আম্বানি স্বয়ং নীতাকে ডাক পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় এত ধনী ব্যক্তির থেকে ডাক পাবার কথা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেন নি নীতা।
এরপর অফিসে দেখা করার জন্য পৌঁছান নীতা। ধীরু ভাই আম্বানি তখন তার বড় ছেলের সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন নীতাকে। এরপর দুজনে দেখা করেন, মুকেশের নম্র স্বভাব খুব পছন্দ হয়েছিল নীতার। এরপর একদিন মুম্বাইয়ের রাস্তায় জামের মধ্যেই নীতার থেকে উত্তর চেয়ে বসেন মুকেশ। উত্তরে হ্যা বলেছিলেন নীতা, তবে সাথে ছিল একটি শর্ত।
কি সেই শর্ত? জানতে ইচ্ছা করছে নিশ্চই। আসলে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন নীতা। ৮০০ টাকা মাইনেতে বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতেন। বাচ্চাদের পড়াতে খুব ভালোবাসতেন নীতা। কিন্তু তাঁর ভয় ছিল এতো বড়োলোকের বাড়ির বউ হলে হয়তো সেটা আর হবে না। তাই নীতা সেদিন শর্ত রেখেছিলেন, তাকে বিয়ের পর যদি স্কুলে পড়াতে দেওয়া হয় তবেই বিয়েতে রাজি তিনি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, বিয়ের পরেও একটি স্কুলে পড়াতে যেতেন নীতা। এরপর বেশ কিছুদিন পর অবশ্য চাকরি ছেড়ে রিলায়েন্স গ্রুপে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে নেন নীতা আম্বানি।