আজকালের গতিময় জীবনে মানুষের হাতে সময় কম থাকলেও সকলেই চায় তাঁর স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে কিছুটা হলে নজর দিতে। ব্যস্ততার ফাঁকে তাই সকলেই চায় সুস্থ থাকতে। বর্তমান জীবনে খাদ্যাভাসে জায়গা করে নিয়েছে দই। ডাক্তার বা পুষ্টিবিদেরা সবসময়ই টক দই খেতে পরামর্শ দেন| মিষ্টি দই অনেকেই পছন্দ করেন। তবে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। টক দই একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও হেলদি খাবার, কারণ এতে আছে দরকারি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B-6 এবং ভিটামিন B-12, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। দই স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ভাল। কিন্তু সবসময় একঘেয়ে ভাবে এই টকদই খেতে ভালোলাগেনা, তাই বাড়িতেই খুব সহজ পদ্ধতিতে বানিয়ে ফেলতে পারেন দইবড়া।
দইবড়া বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ :
মাষকলাই ডাল : ১/২ কাপ
জিরা২ চা চামচ
ধনে২চা চামচ
গোল মরিচ১/২ চা চামচ
শুকনো মরিচ৪টি
লবণ১ টেবিল চামচ
তেল১ কাপ
গুড় বা চিনি২ টেবিল চামচ
টক দই২ কাপ
দইবড়া বানানোর পদ্ধতি:
- প্রথমে মাষকলাইয়ের ডাল ভালো করে ধুয়ে সারারাত অথবা ৪ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন।মাষকলাই ডালের জলে ফেলে দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন। লক্ষ্য রাখবেন ব্লেন্ড করার সময় খুব বেশি জল দেবেন না। আপনি চাইলে এর সাথে বেকিংসোডা মেশাতে পারেন। ব্যাটারটা যেন ঘন হয়।
- ব্যাটার ভালোভাবে তৈরি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য পানির মধ্যে সামান্য ব্যাটার ছেড়ে দিন। যদি ভেসে উঠে তবে বুঝতে পারবেন দই বড়া তৈরির জন্য পারফেক্ট ব্যাটার তৈরি হয়েছে।
- প্যানে তেল গরম হয়ে এলে এতে বড়ার আকৃতি করে ব্যাটার দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। বড়ার তেলে দেওয়ার আগে ভালো করে ব্যাটার ফেটে নেবেন।
- আরেকটি প্যান তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে দিন। এতে হিং দিয়ে দিন। তেলে হিং ছিটে এলে নামিয়ে ফেলুন।৫।একটি পাত্রে জল এবং লবণ মিশিয়ে নিন। এতে বড়াগুলো ডুবিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট।
- অন্য একটি পাত্রে টকদই, চিনি এবং লবণ একসাথে ভালো করে ফাটুন।
- ২০ মিনিট পর বড়াগুলো নরম হয়ে এলে পানি ঝড়িয়ে টকদইয়ের মাঝে বড়াগুলো দিয়ে দিন। টকদইয়ের মধ্যে বড়াগুলো কিছুক্ষণ রাখুন।
- এবার পরিবেশন প্লেটে দই এবং বড়া দিয়ে তার উপর টক-মিষ্টি চাটনি, ধনেপাতার চাটনি, মরিচ গুঁড়ো,জিরা গুঁড়ো এবং লবণ ছিটিয়ে দিন।