বলিউডের ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ অভিনেত্রী দিয়া মির্জা (Dia Mirza)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন অভিনেত্রী। যার কারণ অভিনেত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে (Second Marriang) ও হানিমুনে (Honeymoon) গিয়ে স্বামীকে নিয়ে করা অভিনেত্রী একটি বিস্ফোরক টুইট। গত মাসেই দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী বিগত ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২১এ। এর আগে বলিউডের প্রযোজক সাহিল সংঘের সাথে বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রীর।
অভিনেত্রীর বিয়ের পর ইতিমধ্যেই একমাস কেটে গিয়েছে। বিয়ের পরে সচরাচর মধুচন্দ্রিমার জন্য দূরে কোথাও রোমান্টিক জায়গায় চলে যান সেলিব্রিটিরা। অভিনেত্রী দিয়াও তার ব্যতিক্রম নন, দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হানিমুনের উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছেন মালদ্বীপে (Maldives)। সুমুদ্রের বিস্তৃত নীল জলরাশির মাঝে রোমান্টিক পরিবেশেই একান্তে ছুটি কাটাবেন স্থির করেছেন তিনি। বরাবরই পরিবেশ ও দূষণ নিয়ে সরব অভিনেত্রী মালদ্বীপে গিয়ে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করেন যা রাতারাতি শিরোনামে পরিণত হয়। যার ফলে চর্চায় চলে আসেন অভিনেত্রী।
তবে এরপরে আরো একটি চমকে দেবার মত খবর দেন অভিনেত্রী। পড়ন্ত বিকেলে মালদ্বীপের সমুদ্রের ধারে ফ্লোরাল ডিজাইনার পোশাকে দাঁড়িয়ে একটি দারুন খবর শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। মা হতে চলেছেন তিনি। ছবিতে নিজের বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করেছেন। পোশাকের মাঝে একেবারে স্পষ্টই অভিনেত্রীর বেবিবাম্প। বিয়ের একমাসের মধ্যে অভিনেত্রীর এই বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার হবার পরিভাইরাল হয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
কিভাবে একজন বিয়ের এক মাসের মধ্যেই প্রেগনেন্ট হয়ে গিয়ে এতটা বেবিবাম্প হয়ে যেতে পারে! এই প্রশ্নই ঘুরতে শুরু করেছিল সকলের মাথার মধ্যে। এমনকি এক নেটিজেন তো মন্তব্যই করে বসেন, প্রেগনেন্ট হয়েছেন খুবই খুশির কথা। কিন্তু বিয়ের আগেও তো প্রেগনেন্সির কথা জানাটা পারতেন। বিয়ের পরেই প্রেগনেন্সির খবরটা দিতে হল’! নেটিজেনের এহেন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। জবাবে একটি লম্বা উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর উত্তরের সারমর্ম হল এই যে, প্রশ্নটা সত্যিই আকর্ষণীয়! সবার প্রথমেই জানাতে চাইব যে আমি প্রেগনেন্ট বলে বিয়ে করিনি বা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়নি। প্রেগনেন্সির কথাটা নিতান্ত মেডিক্যাল কারণেই জানানো হয়নি। যতক্ষণ না সমস্ত কিছু সুরক্ষিত হবে ততক্ষন খবরটা জানাতে চাইনি। মা হওয়া আমার কাছে একটা বিশাল খুশির ব্যাপার। আমি বহু বছর ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি। তাই এই খবরটি আগেই জানাতে চেয়েছিলাম তবে মেডিক্যাল কারণেই এক খবর কিছুদিন দেরিতে জানাতে হয়েছে।