বাবা হওয়া সত্যি দারুন ব্যাপার। মা হওয়া যেমন পৃথিবীর সবথেকে খুশির অনুভূতি, তেমনি বাবা হওয়াও দারুন খুশির ব্যাপার। সন্তানদের মা যেমন আগলে রাখে তেমনি বাবাও কিন্তুই নিজের যথাসাধ্য চেষ্টা করে তাকে বড় করে মানুষে করার জন্য। একজন বাবাই মূলত পরিবারের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে বড় করে তোলার মত গুরু দায়িত্ব থাকে বাবার ঘাড়ে। তবে এমন ঘটনাও শোনা যায় যে বাবা নাকি সন্তানদের দেখাশোনা করেন না।
কিন্তু যদি বলি একটা বা দুটো নয় মোট ৩৪ জন সন্তানের জন্ম দিয়েও তাদের কোনো খোঁজ রাখেন না বাবা। খোঁজ রাখা তো দুরস্ত ৩৪ সন্তানদের চেনেনই না তাদের বাবা। আপনি হয়তো ভাবছেন এও আবার হয় নাকি! কিভাবে সম্ভব এটা! আসলে হয়তো পৃথিবীতে অনেক কিছুই সম্ভব। এবার আপনাদের এমন একটি ঘটনার কথা বলবো যা শুনলে হয়তো আপনিও অবাক হয়ে যাবেন।
আগেকার দিনে সন্তানের জন্ম দেওয়াটা ছিল একটা পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। অনেক স্বামী স্ত্রী নানান সমস্যার কারণে মা বাবা হতে পারতেন না। তাদের সারাজীবন দুঃখের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হত যে সন্তানদের মুখ দেখতে পাবেন না তাঁরা। কিন্তু মেডিকেল সাইন্স আর প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সেই সমস্যা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন সন্তান জন্মদেবার নানান উপায় আবিষ্কৃত হয়েছে। আর অভিনব এই উপায়ের একটি হল স্পার্ম ডোনেশনের মাধ্যমে মা বাবা হতে পারা।
আসলে এই পদ্ধতিতে স্পার্ম বা শুক্রাণুর দ্বারা সন্তানদের জন্ম দেওয়া হয়। কোনো ব্যক্তির শুক্রাণু নিয়ে সেটা মহিলাদের ডিম্বাণুর সাথে মিশিয়ে কৃত্রিম পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদেওয়া যেতে পারে। অনেকেই হয়তো আইভিএফ পদ্ধতির কথা শুনে থাকবেন, এই আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হবার জন্য শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর ব্যবহার হয়। বিশ্বের বহু জায়গায় এই শুক্রাণু অর্থাৎ স্পার্ম ব্যাঙ্কও খোলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। অনেক ব্যক্তি নিজেদের স্পার্ম সেখানে ডোনেট করে থাকেন।
স্পার্ম ব্যাঙ্কের স্পার্ম দিয়ে যদি কোনো মহিলা প্রেগনেন্ট হন ও সন্তানের জন্মদিন তাহলে সেই সন্তানের বায়োজেনেটিক বাবা হলেন সেই ব্যক্তি যিনি স্পার্ম দিয়েছেন। আসলে এইভাবেই মোট ৩৪ বার বাবা হয়েছেন ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল ওই ব্যক্তি নিজের ৩৪ সন্তানদের কাউকেই চেনেন না। কারণ তাদের সাথে কোনোদিনই দেখা করেন নি তিনি।