গরম পড়ে গেছে, আর আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে শরীরখারাপ হয় হামেশাই। রোদের প্রচন্ড তাপ থেকে এসেই অনেকে ঠান্ডা জল খেয়ে নেয়। বা অনেক সময় সারাদিন বাইরে রোদে ঘুরে ঘুরে ঘাম বসে গলায় ব্যাথা শুরু হয়। খাবার খাওয়া তো দূরের কথা ঢোক গিলতে গেলেও সহ্য করতে হয় অসঝ্য গলা ব্যাথা (Throat Pain)। এবার এই ঠান্ডা লেগে গলা ব্যাথা কমানোর উপায় গুলিই জানাতে চলেছি আপনাদের।
১. নুন জল (Salt Water)
গলা ব্যথা হলে বা ঢোক গিলতে ব্যাথা লাগলে গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করুন। দেখবেন তৎক্ষণাৎ দারুন আরাম পাবেন। গলা ব্যথার সমস্যায় প্রাথমিক ওষুধ হিসেবে গার্গল দারুন কার্যকরী। সারাদিনে যদি চার পাঁচবার গার্গল করা যায় তাহলে ব্যাথা অনেকটা কমে যায়।
২. আদা (Ginger)
আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম। তাই গলায় ব্যাথার ক্ষেত্রে গরম জলে কয়েক কুচি আদা ফেলে নুন জলের মত গার্গেল করুন। দেখবেন অনেকটা আরাম পাবেন গলার ব্যাথায়।
৩. হলুদ (Turmeric)
আদার যেমন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে তেমনি হলুদেরও অ্যান্টি সেপটিক গুণ রয়েছে। শুধু তাই নয় হলুদ কিন্তু অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি। অর্থাৎ গলার ব্যাথার ক্ষেত্রে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা দারুন উপশম দেয়। আপনি চাইলে গলা ব্যাথা না হলেও এটি খেতে পারেন এতে আপনার শরীর আরো বেশি করে অনাক্রম্যতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
৪. মধু (Honey)
মধুর একাধিক অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী রয়েছে। সেই ঠাকুমা দিদিমাদের আমল থেকে গলা ব্যাথার উপশমের জন্য মধু ব্যবহার করা হয়। এক কাপ গরম জলে দু-তিন চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে ৩-৪ বার খেলেই অনেকটা কমে যাবে গলার ব্যাথা।
৫. রসুন (Lahsoon)
রান্নাঘরে রসুন সবারই থাকে। এই রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন নামের এক উপাদান যা গলা ব্যাথা কমাতে দারুন কাজে দেয়। তাই গলা ব্যাথার ক্ষেত্রে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে আরাম পেতে পারেন।
৬. লবঙ্গ (Clove)
সর্দি কাশি হলে লবঙ্গ দারুন কাজে দেয়। একথা আলাদা করে বলার কিছুই নেই। তবে জানেন কি গলা ব্যাথার ক্ষেত্রেও ম্যাজিকের মত কাজ করতে পারে লবঙ্গ। একটা কি দুটো লবঙ্গ মুখের মধ্যে নিয়ে চুষতে থাকুন। এরপর লবঙ্গ নরম হয়ে গেলে সেটা চিবিয়ে গিলে ফেলুন। এতে দারুন আরাম পাবেন।