স্যুইচ দিলে আলো জ্বলার বা পাখা চলা আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনার মধ্যেই পড়ে থাকে। কিন্তু যদি এমন হয় যে স্যুইচ টিপতে হঠাৎই বেরিয়ে এল জলজ্যান্ত বিষধর সাপ। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। সূত্রের খবর, স্নান করতে বাথরুমে গিয়েছিল বছর সাতেকের শিশু। গিজারের সুইচটা দিতেই শিউরে ওঠে সে। সঙ্গে সঙ্গে চরম আর্তনাদ শুনতে পায় বাড়ির সকলেই। অকুস্থলে ছুটে আসতেই মা দেখে যে ফণা উঁচিয়ে বসে রয়েছে পাঁচ ফুটের একটি গোখরো সাপ! সকাল সকাল ধূপগুড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এহেন ঘটনায় রীতিমত স্তম্ভিত সকলেই।
ধূপগুড়ির মল্লিক পরিবারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। সময়মত সাবধান না হলে যে কি দুর্ঘটনা ঘটত, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন মা শেফালি মল্লিক। ছেলের চিৎকার শুনতে পেয়ে যে তিনি সময়ে ছুটে গিয়েছিলেন, তার জন্য বারংবার ভগবানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ছোট্ট ছেলেটির মতে, বিশাল আকারের গোখরোর মাথা তুলে বসে থাকার দৃশ্যটি এখনও ওর চোখের সামনে ভাসছে।
জানা যাচ্ছে, সাপটিকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে যান দু’জনেই। তারমধ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে সাপটি রান্নাঘরের অনতিদূরে কুয়োর পাশে রাখা একটি বালতির ভেতরে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মল্লিকবাড়িতে পৌঁছান পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধূপগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনকে খবর দেন রাজেশবাবু। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডকে। সাপপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা বনকর্মীদের হাতে সাপটিকে তুলে দেয়।
বাড়ির মালকিন শেফালি মল্লিকের কথায়, “আগে কখনও ঘরের ভিতরে এ ভাবে সাপ ঢুকে পড়েনি। বছর দুয়েক আগে বাড়ির আশপাশ দিয়ে সাপ ঘোরাফেরা করতে দেখেছিলাম, কিন্তু এমন ঘটনা এই প্রথম।” দৃশ্যটি মনে করলেই যে এখনও ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, তা স্বীকার করে নেন শেফালি।