বঙ্গে শীতের ইতি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বললেই চলে। এখন বসন্তের নাতিশীতোষ্ণ বাতাস মাঝে মধ্যেই প্রাণ জুড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। তবে সকাল হলে সূর্যিমামার তেজ কিন্তু এখন থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। অর্থাৎ গরম যে আসছে তাঁর ইঙ্গিত কিন্তু স্পষ্ট। আর গরমকাল (Summer) মানেই ঘামে প্যাচপ্যাচে গা আর ঘামাচির (Prickly Heat) উপদ্রব। এই ঘামাচি থেকে বাঁচতে কত কিছুই না ট্রাই করি আমরা। চলুন আজ দেখে নেওয়া যাক ঘামাচি দূর করার সহজ উপায় গুলির সন্মন্ধে।
১. ঘামাচি থেকে বাঁচতে ও ঘামাচি হলে তাঁর থেকে কিছুটা উপশম পেতে কম বেশি সকলেই পাওডার ব্যবহার করেন। কিন্তু মুশকিল হল শুধু পাওডার ব্যবহার করলেই হবে না। যেখানে পাওডার ব্যবহার করেছেন সেই জায়গা পরেরদিন স্নানের সময় ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে তবেই আপনার শরীর সঠিক ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে। নাহলেই কিন্তু ঘামাচির চান্স বেড়ে যাবে।
২. ঘামাচি হলে শরীরে চুলকানি থেকে শুরু করে র্যাশ ও জ্বালা শুরু হয়। এর থেকে উপশম পেতে হলে মুলতানি মাটি আর গোলাপজল দারুন উপকারী। একটি পাত্রে গোলাপজল ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে তা ভালোভাবে ঘামাচি হওয়া জায়গায় লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
৩. ঘামাচির সমস্যায় আরেকটি জিনিস রয়েছে যেটা একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করে। আপনার যদি ঘামাচির কারণে র্যাশ ও চুলকানি হয় তাহলে ফ্রিজের থেকে বরফ বের করে সেটাকে একটুকরো কাপড়ে মুড়ে নিন। এরপর সেই কাপড় ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে বেশ কিছুক্ষন ঘষতে থাকুন দেখবেন দারুন আরাম পাবেন।
৪. ঘামাচি হলে অনেক সময় চুলকানি থামানো মুশকিল হয়ে পরে। আবার এদিকে চুলকালে জ্বালা শুরু হয়। এই জেলা শুরু হলে একটি কাপের মধ্যে বেসন আর জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণটি ঘামাচির জায়গায় লাগিয়েদিন। কিছুক্ষন পরেই বুঝতে পারবেন জ্বালা কমে গেছে। এরপর তা ধুয়ে ফেলতে পারেন।
৫. অ্যালোভেরা হল এমন একটি উপাদান যার ব্যবহারের শেষ নেই। অ্যালোভেরা আবার অ্যান্টিসেপটিকেরও কাজ করে। তাই ঘামাচি হলে র্যাশ ও চুলকানির হাত থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থানে দিনে ২-৩ বার অ্যালোভেরা লাগাতে পারেন।
৬. ছোলার ডাল অনেকেরই প্রিয় খাবার। কিন্তু জানেন কি ঘামাচি সারানোর জন্য ছোলার ডাল একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করে। প্রথমে ছোলার ডাল সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে, এরপর সেটাকে ভালো করে বেটে নিতে হবে। তারপর এই ডাল বাটা ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তাহলেই দেখবেন দারুন আরাম পাবেন। এরপর আপনি জল দিয়ে ঘুয়ে নিতে পারেন।