সম্প্রতি চন্ডীগড়ের (Chandigarh) ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police) ভাইরাল ভিডিওকে (Viral Video) ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে (Social Media)! সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়েই রাস্তার গাড়িঘোড়ার জট সামাল দিচ্ছিলেন চন্ডীগড়ের লেডি ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রিয়াঙ্কা। যদিও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে এই ঘটনাকে ঘিরে দানা বাঁধে বিতর্ক। পুলিশ বিভাগের অমানবিকতাকে ঘিরেও চর্চা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিচারবিভাগীয় তদন্ত, খবর প্রশাসনিক সূত্রে!
গত শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ চন্ডীগড়ের রাস্তায় এহেন ঘটনা দেখে ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে তা ছেড়ে দেন এক নেটিজেন। অপর এক মহিলা ট্রাফিক পুলিশ জানান যে প্রিয়াঙ্কা নিজের সন্তানকেই কোলে ধরে রেখেছিলেন! সূত্রের খবর, এহেন ব্যস্ত রাস্তায় নিজ সন্তানকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে কেন কাজ করছিলেন প্রিয়াঙ্কা, সে বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে চাইছেন না প্রিয়াঙ্কা।
View this post on Instagram
চন্ডীগড় পুলিশ বিভাগ সূত্রে খবর, শুক্রবার বেশ দেরিতে পৌঁছানোর কারণে বেশ চাপেই ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার সহকর্মীদের কথায়, প্রিয়াঙ্কার দায়িত্বে ছিল ১৫, ১৬, ২৩ ও ৩৪ নং সেক্টর কিন্তু তিনি প্রায় ৩ ঘন্টা দেরিতে কাজে আসেন। সূত্রের খবর সকাল ৮টার বদলে বেলা ১১টায় ডিউটিতে আসেন প্রিয়াঙ্কা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, “২৯ নং সেক্টরে আসার পর প্রিয়াঙ্কাকে কোনো সমস্যা থাকলে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও সেসব কথা কানে না নিয়ে সন্তানকে ওভাবে নিয়ে কাজ করতে থাকে প্রিয়াঙ্কা।”
দেরিতে পৌঁছানো এবং ব্যস্ত এলাকায় নিজ সন্তানকে ঝুঁকিতে ফেলার কারণে বিচারবিভাগীয় তদন্তের সামনে প্রিয়াঙ্কা। এই তদন্তের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিভাগেরই এক মহিলা পুলিশ, চন্ডীগড় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এমনটাই। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার পরিবার সূত্রে জানা গেছে যে তাঁর সন্তান খুবই ছোট হওয়ায় মাকে ছাড়া থাকতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই সন্তান কেঁদে উঠলে প্রিয়াঙ্কা যেখানে ডিউটিরত থাকেন, সেখানে মায়ের কোলে কিছুক্ষণের জন্য দিয়ে আসার বন্দোবস্ত করেন পরিবার-পরিজনেরা!