আধুনিকতার যুগে আজ সথেকে বড় সমস্যাগুলির একটি হল ভুঁড়ির সমস্যা (Belly Fat)। এই ভুঁড়ি কমানোর উপায় খুঁজে খুঁজে হয়রান কমবেশি সকলেই। আসলে বর্তমান যুগে সবকিছুই খুব দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। তা সে প্রযুক্তি হোক বা সময়। আর এই দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা যুগের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে প্রতিদিন যেন রেস চলছে। যেখানে নিজেদের শরীরের খেয়াল রাখতেই ভুলে যাই আমরা। আর শরীরের প্রতি হওয়া এই অত্যাচারেই প্রতিফলন হিসাবে দেখা দেয় ভুঁড়ির সমস্যা।
সবসময় যে শুধুমাত্র খাবারের অনিয়মের কারণে ভুঁড়ি বেড়ে যায় তা কিন্তু নয়। ব্যস্ততা আর চাপে ভরা জীবনে স্ট্রেস হল মানব শরীরের সব থেকে বড় শত্রূ। আর মানুষের মানসিক চাপ বাড়লে সেটাও স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। অনেকে হয়তো ভাবে মানসিক চাপের কারণে আবার ভুঁড়ি বাড়ে নাকি! তাহলে তাদের জন্য জানিয়ে রাখি, মানসিক চাপ বাড়লেই বাড়ে কর্টিসোলের মাত্রা। যেটা মানবদেহের তলপেট অঞ্চলে মেদ (Lower Belly Fat) জমতে সাহায্য করে।
আসুন আজ বংট্রেন্ডের (Bongtrend) পেজে দেখে নেওয়া যাক এই মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে হওয়া ভুরি বা স্ট্রেস বেলি থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। স্ট্রেস বেলি কমানোর জন্য মোট ৫টি উপায় নিম্নে বর্ণিত হলঃ
১. যোগব্যায়াম (Yoga)
মানসিক চাপ কমাতে ও মনের স্থিরতা আনতে যোগাভ্যাসের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি ধ্যানের অভ্যাসও করা যেতে পারে। এর ফলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
২. শারীরিকভাবে কার্যকরী থাকা (Activeness)
আপনি যদি সারাটা দিন শুয়ে বসে কাটান, তাহলে মানসিক চাপ কমলেও শরীরে তার প্রভাব পড়তে বেশ সময় লাগবে। তাই শারীরিকভাবে একটি অ্যাকটিভ হতে হবে। যেমন প্রতিদিন সকালে অন্তত পক্ষে ২০-৩০ মিনিটের হালকা শরীরচর্চা। এছাড়াও হাটার অভ্যাস। বা সারাদিন বসে না থেকে মাঝে একটু নড়াচড়া করলে তা শরীরের পক্ষে ভালো।
৩. ধূমপান (Smoking)
আজকাল অনেকেরই ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু জানেন কি ধূমপান কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ক্ষতিকারক। এটি সাময়িকভাবে মানসিক চাপ কমালেও, আসলে কিন্তু নেশাগ্রস্ত করে তোলে ও মানসিক চাপ আরো বাড়াতে সাহায্য করে পরোক্ষভাবে। তাই ধূমপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম (Sleep Enough)
মানুষের শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘুম। সারাদিন ননস্টপ কাজ করে চলে আমাদের মস্তিস্ক। তাই মানসিক চাপ বাড়া স্বাভাবিক, যার জন্য দিনের দেশে ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু আজ ব্যস্ত জীবনে অনেকেই রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম যদি শরীর না পায় সেক্ষেত্রে কিন্তু খারাপ। আবার একইভাবে বেশি ঘুমানোও কিন্তু ক্ষতিকারক। কারণ আপনি যদি সারাদিনে ৯-১০ ঘন্টা ঘুমিয়েই কাটান তাহলে শরীরে আলস্য বাড়বে। যার ফল স্বরূপ ধীরে ধীরে শরীরের চর্বি বাড়তে থাকবে।
৫. সুষম খাদ্য (Super Food)
আজকালকার ব্যস্ত লাইফস্টাইলে মানুষ ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই ফাস্ট ফুড মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। বরং এটি শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে, যার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এর সাথে শরীরের ভিটামিন ও অত্যাবশ্যক জিনিসগুলির চাহিদা পূরণ হয়না। যা দেহে চর্বি জমার মূল কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সুষম খাবারকেও খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।