একদিকে যখন করোনা ভয়ে তটস্থ গোটা মানব সমাজ তখন এবার কলকাতা সহ গোটা রাজ্যজুড়েই মাথাচাড়া দিচ্ছে পারভো ভাইরাস আতঙ্ক। ফলস্বরূপ কুকুরদের মড়কে আশঙ্কায় তটস্থ হয় রয়েছেন পশুপ্রেমীরা। তবে আশার কথা এই যে পারভো ভাইরাস অতিসংক্রমক হলেও এর দুটি স্ট্রেইনের একটিও মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায় না। ভাইরাসঘটিত এই রোগটি মূলত কুকুরের মধ্যে হয়। যা মূলত ফেব্রুয়ারি মাসেই বেশি দেখা যায় দেশজুড়ে।
এদিকে করোনা ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে তৈরি করা হয়েছিল কোয়ারান্টিন সেন্টার। এ বার পারভো ভাইরাসের সংক্রমণ মাথাচাড়া দেওয়ায় কুকুরদের কোয়ারান্টিন সেন্টারের চাহিদা এখন তুঙ্গে। যদিও চাহিদার তুলনায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা খুবই নগন্য বলে জানাচ্ছেন পশুপ্রেমীরা। এমনকী বেসরকারি উদ্যোগে কিছু কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হলেও করোনা আক্রান্ত সারমেয়দের জন্য তা খুবই কম বলে জানা যাচ্ছে।
এমতামস্থায় পারভো ভাইরাসের হাত থেকে কী ভাবে পথকুকুরদের বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় সারমেয়প্রেমীরা।পারভো ভাইরাস নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও হেলদোল চোখে না-পড়লেও, অনেকে চাঁদা তুলে রাস্তার কুকুরদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন বলে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও যে মড়কের হাত থেকে বিশেষ রক্ষা পাওয়া যাবে, এমনটা মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে পশুচিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পারভো ভাইরাস কার্যত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা রাজ্যেই। রোজই মারা যাচ্ছে শতাধিক কুকুর।