শীতকাল প্রায় শেষের পথে, ধীরে ধীরে গ্রীষ্মকাল আসবে। কিন্তু গ্রীষ্ম আসার আগে বেশ কিছুদিন শীত গ্রীষ্মের লুকোচুরি খেলা চলবে। আর প্রতিবছর এই আবহাওয়া বদলের সময় শরীর খারাপ ভুগতে হয়ে অসংখ্য মানুষকে। আর আবহাওয়া বদলে অনেকেরই ঠান্ডা লেগে কাশি (Cough) শুরু হয়। আর শীতের সময় কাশি শুরু হলে যেন ঠিক হবার নামই নেই না। কাশি হয়তো অনেকে গুরুত্ব দেন না তবে এটি কিন্তু শরীর খারাপের আগাম লক্ষণ।
কাশি হলেই অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেন। আবার অনেকে ভাবেন কিছু দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যাবে। তবে, জানেন কি খুব সহজেই কাশি দূর করা যায়। সহজ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির ব্যবহার করে কোনোৰথম ওষুধ ছাড়াই কাশিকে নির্মূল করা যায়। আজ আপনাদের জানাবো কিভাবে ঘরোয়া ভাবেই কাশির থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মধু (Honey)
কাশির উপশমে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে মধুর জুড়ি মেলা ভার। কাশিতে মধু রীতিমত ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ করে। কাশির ফলে শ্বাসনালি থেকে শুরু করে গলায় কফ জমে যায়। মধু সেই কফ যেমন শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয় তেমনি গলায় পরিষ্কার করে দেয়। যেকোনো কাশিতেই মধ্যে খেলে তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়া যায়। মধু অনেকভাবেই খাওয়া যেতে পারে, কিভাবে? দেখে নিন তাহলে।
- এক গ্লাস হালকা উষ্ণ জলে ২ চামচ মত মধু নিয়ে মিশিয়ে দিন। তার সাথে একটা পাতিলেবু অর্ধেক করে সেই লেবুর রস ও কিছুটা আদার রস মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি দিনে অন্ততপক্ষে দুবার খেতে হবে তাহলেই দেখবেন ম্যাজিকের মত কাজ দেবে।
- মধু শুধুও খেতে পারেন। শুকনো কাশি হলে দিনে ২-৩ বার ১ চামচ করে মধু খেতে পারেন।
- এক গ্লাস হালকা উষ্ণ জলের সাথে ১ চামচ মধু ও অল্প একটু মরিচগুঁড়ো মিশিয়েও খেতে পারেন।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম দুধের সাথেও ২-৩ চামচ মধু খেতে পারেন।
আদা (Ginger)
আদা কিন্তু দারুন উপকারী। আগেই বলেছি মধুর সাথেও আদা খাওয়া যেতে পারে যার ফলে দারুন আরাম পাবেন কাশি থেকে গলা খুশ খুশ সবেতেই। কিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে দেখে নিন।
- প্রথমে আদাকে ছোট ছোট কুচু করে কেটে নিন।
- এরপর আদা কুচির সাথে হালকা নুন মিশিয়ে খেয়েছে পারেন, এতে কাশিতে দারুন উপকার পাবেন।
- লিকার চা এর সাথে আদা দিয়ে চা করেও খেতে পারেন। এতে দারুন কাজ দেয়, আর নিমেষে কাশি দূর হয়ে যায়।
দুধ ও হলুদ (Haldi Milk)
দুধ শরীরের জন্য দারুন উপকারী এতো সকলেরই জানা। আর হলুদেরও অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। আর দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেলেও গলা ব্যাথা, কাশি ইত্যায়িদ বেশ ভালো আরাম পাওয়া যায়। দেখে নিন কিভাবে বানাবেন এই হলদি দুধ।
- প্রথমে এক গ্লাস গরম দুধ নিতে হবে।
- এরপর সেই দুধে এক চা চামচ মত গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সেটাকে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
- যদি চান তাহলে দুধের মধ্যে ১ চামচ মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।