আধুনিকতার যুগে আজ সথেকে বড় সমস্যাগুলির একটি হল ভুঁড়ির সমস্যা। এই ভুঁড়ি কমানোর উপায় খুঁজে খুঁজে হয়রান কমবেশি সকলেই। আসলে বর্তমান যুগে সবকিছুই খুব দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। তা সে প্রযুক্তি হোক বা সময়। আর এই দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা যুগের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে প্রতিদিন যেন রেস চলছে। যেখানে নিজেদের শরীরের খেয়াল রাখতেই ভুলে যাই আমরা। তাই খাবারের বেনিয়ম আর শরীরের প্রতি অযত্নে বাড়তে থাকে ভুঁড়ির সমস্যা।
সময় বাঁচাতে আর জিহ্বার স্বাদের খাতিরে ফাস্ট ফুড খেয়ে যায় আমরা। আর ভুঁড়ি বেশি বেড়ে গেলেই সেটা আবার চিন্তার বিষয়। লোক সমাজে হাসির পাত্র তো হতে হয়ই, সাথে মোটা হওয়া মানেই শরীরে হাজারো রোগের সূত্রপাত। তাই ভুঁড়ি কমানোর জন্য কত কিছুই না করি আমরা। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জোটে হতাশা। তবে আর না, আজ আপনাদের এমন একটি ঘরোয়া উপায় বলতে চলেছি যা দিয়ে খুব সহজেই ভুঁড়ি কমাতে সক্ষম হবেন আপনি।
আমাদের পরিবেশে এমন কিছু শাক সব্জি আছে যার ব্যবহার আমরা হয়তো এখনো পর্যন্ত জানি না। এমনই একটি সবজি হল করলা বা একেবারে চলতি ভাষায় উচ্ছে। হ্যাঁ মশাই ঠিকই দেখেছেন, স্বাদে তেতো হলেও করলা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আর আজ কে এই করলার গুনাগুনই জানাবো আপনাদের। করলার জুস যে কি পরিমান উপকারী তা একবার জানলে আপনিও ঢকঢক করে খাবেন করলার জুস।
করলার রসের গুণাগুণঃ
- করলাতে রয়েছে ভিটামিন A,B,C যা শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী।
- করলার রস ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও বেশ কার্যকরী।
- করলাতে আয়রন রয়েছে যা শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির সাহায্য করে।
- করলার রস কৃমিনাশক হিসাবেও কাজ করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যও অনেকে করলার রস খেয়ে থাকেন।
এতো গেল করলার রসের গুণাগুণ। তবে কিভাবে বানাবেন এই করলা/উচ্ছের রস! সেই পদ্ধতিও দেখে নিন এক ঝলকে।
করলার রস তৈরির প্রনালীঃ
- প্রথমে যথেষ্ট পরিমান করলা নিয়ে তা জল দিয়ে বেশ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
- এরপর সেটিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। আর কাটার সময় করলার বীজ বের করে ফেলতে হবে।
- এরপর হামালদিস্তায় থেঁতো করে বা মিক্সিতে সামান্য জল মিশিয়ে একেবারে তরল করে নিতে পারেন।
ব্যাস এইভাবে করলেই আপনার করলার রস রেডি। তবে হ্যা, আপনার যদি একেবারেই তেতো খাবার অভ্যাস না থাকে তাহলে এই করলার রোষে কিছুটা নুন ও কিছুটা মধু দিতে পারেন। তবে করলার রস শুধু খাওয়াটাই বেশি উপকারী।