দিন কয়েক আগেই বলিউডের নাম করা সঙ্গীত শিল্পী গুরু রন্ধাওয়া, র্যাপার বাদশা এবং সুজান খান সহ ৩৪ জন বলি তারকাকে হোটেল জে ডব্লু ম্যারিওয়টের ড্রাগনফ্লাই ক্লাবের লেট নাইট মদের আসরে দেখা গিয়েছিল। করোনা আবহে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গাইডলাইন না মেনে পার্টি করার দরুন এই তারকাদের গ্রেফতার ও করা হয়েছিল। বলি তারকাদের সঙ্গে মদের নেশার যোগ আজকের নয়। এমন অনেক তারকাই আছে যারা নেশার কারণে নিজেদের কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিয়েছেন। চিনে নিন বলি-পাড়ার এই ৫ তারকাকে যাদের মদ আসক্তি চরম সীমায় পৌঁছেছিল।
কপিল শর্মা
কমেডি কিং কপিল শর্মার মদ আসক্তির কারণে তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এর জেরে কপিলের প্রিয় বন্ধু সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে ঝামেলা পর্যন্ত হয়েছিল। এরপরেই সুনীল কপিলের বিকল্প বেছে নেওয়ার কথা ভেবে এই শো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এরপরেই কপিল হতাশায় চলে গিয়েছিলেন, এবং তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রেও যেতে হিয়েছিল। পরে নিজের এই বদভ্যাস শুধরে নেন কপিল, এখন তিনি আবার নিজের কেরিয়ারে যথেষ্ট সফল।
হানি সিং
র্যাপার হানি সিংও অ্যালকোহলের নেশার কারণে দীর্ঘ সময় সংগীত থেকে দূরে ছিলেন। এই নেশার জেরে দীর্ঘদিন বাইপোলার ডিজ অর্ডারেও ভুগেছেন তিনি। মদ্যপানের কারণে একসময় তার ওজন বেড়ে গিয়েছিল অনেক। এরপর নিজেকে শুধরে নেন ইয়ো ইয়ো হানি সিং। প্রায় দু’বছর মিস করার পরে, ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’র’ দিল চোরি সদ্দা হো গায়া .. ‘গান দিয়ে ফের নিজের হারানো জায়গা ফিরে পান হানি।
রাজেশ খান্না
বলি সুপারস্টার রাজেশ খান্নাও বিপুল ভাবে মদের প্রতি আসক্ত ছিলেন। রাজেশ খান্না এই অভ্যাসটি কখনোই ছাড়তে পারেননি, কথিত আছে প্রতি রাতেই তার বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করতেন। এই বদভ্যাসের কারণেই তার লিভার এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে তিনি ২০১২ সালে মাত্র ৬৯ বছর বয়সেই মারা যান।
ধর্মেন্দ্র
ধর্মেন্দ্র নিজের স্বীকার করেছিলেন যে মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই তিনি নিয়মিত মদ্য পান করতেন। এমনকি শ্যুটিং এর পরেও সেটে অনেক রাত অবধি মদ্যপানে মেতে থাকতেন তিনি, এর জেরে তার মুখে মদের গন্ধ সকাল পর্যন্ত থাকত। আর এই গন্ধ দূর করতে পেঁয়াজ খেতেন অভিনেতা৷ একবার আশা পারেক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর থেকেই আর কখনো সেটে মদ খেতেন না ধর্মেন্দ্র।
সঞ্জয় দত্ত
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় জানান, ১২ বছর তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। এমন কোনো মাদক নেই যেটি তিনি সেবন করেননি। এই অভিনেতাকে নিয়ে নির্মিত ‘সাঞ্জু’ সিনেমাতেও তার মাদক সেবনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। কঠিন অসুখ ক্যানসারেও আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু এখন সেই প্রকোপ কাটিয়ে তিনি বেশ সুস্থ।