বর্তমানে মানুষ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (Social Networking) হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া দুটি ক্ষেত্রেই বেশ সক্রিয়। বা বলা ভালো যে সোশ্যাল মিডিয়াতে অতি সক্রিয় কম বেশি সকলেই। আর আগে যেমন মানুষ নিত্য নতুন ছবি শেয়ার করত নিজের জনপ্ৰিয়তা বাড়ানোর জন্য তেমনি বর্তমানে ছবির বদলে এসেছে ভিডিও। আর ভিডিও শেয়ার করার জন্য দরকার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (Video Editing Software)। এই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুগল প্লে স্টোরে (Google Playstore) প্রচুর রয়েছে। যার মধ্যে কিছু ভালো তো কিছু কোনো কাজের না।
এখন কথা হল প্রতিদিনই হাজারো লাখো ডাউনলোড হচ্ছে এই ধরণের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলি। কিন্তু কাজ হবার বদলে জুটছে শুধু একরাশ হতাশা। কোনো অ্যাপ যা বলে তা করে না, তো কোনো অ্যাপ যা দেখায় সেটা করতে গেলে মোটা টাকা খসাতে হবে। যেটা অনেকেই মোটেও পছন্দ করেন না।
বর্তমানে এই সমস্যার থেকে কিছুটা রেহাই দিতে কিছু স্মার্টফোন কোম্পানি নিজেদের ফোনের সাথেই এক ধরণের এডিটিং টুল দিয়ে দিচ্ছেন গ্রাহকদের। এরফলে যেমন তাদের ফোনের বিক্রি বাড়ছে তেমনি গ্রাহকরাও ভিডিও এডিট করতে পেরে খুশি হচ্ছেন। কিন্তু সমস্ত ফোনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটে না। তাই কিছু সংখ্যক মানুষ উপকৃত হলেও অনেকেই ভিডিও এডিটিং করতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এবার এই সমস্যার সমাধান করতে মাঠে নামল টেক জয়েন্ট গুগল (Google)। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি গুগলেরই তৈরী। আর অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গুগল ফটোস (Google Photos) বলে একটি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে ছবি জমা করে রাখা থেকে শুরু করে এডিটিং করা যায়। এবার সেই গুগল ফটোস এই যুক্তি হতে চলেছে ভিডিও এডিটিং।
ইতিমধ্যেই গুগল ফটোস আইওএস ভার্শনে এই সুবিধাটি চলে এসেছে। আর নতুন এই ফিচারের সাহায্যে আলাদা কোনো সফটওয়্যার ছাড়াই ভিডিও এডিটিং করা যাবে। যেমনটা আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলিতেও আসতে চলেছে এই সুবিধা। নতুন এই এডিটিং এর মাধ্যমে ভিডিও ফ্রেম রোটেশন, স্টেবিলাইজেশন, ফিল্টার বদল নিত্যদিন অনেক কিছু করা যাবে খুব সহজেই।