ভারতীয় টেলিকম বাজারে প্রতিযোগিতা রয়েছে প্রচুর। প্রত্যেকটি টেলিকম কোম্পানি একেঅপরকে টেক্কা দেবার জন্য রেষারেষি করছে প্রতিনিয়ত। এত কম দামে বেশি ডেটা আর আনলিমিটেড কলিং প্ল্যান নিয়ে ছিল যত প্রতিযোগিতা। মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এই প্রতিযোগিতায় বলতে গেলে অনেকটা এগিয়ে আছে। কম টাকায় হাই স্পিড ডেটা থেকে শুরু করে, এসএমএস সাথে ফ্রীতে আরো অনেক কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে একই রাজত্ব করছে প্রিপেড টেলিকম সেক্টর। কিন্তু প্রিপেড দেখতে গিয়ে পোস্টপেইড পরিষেবায় ঢিলেমি পড়েছে জিওর, আর সেই সুযোগেই বাজিমাত করল এয়ারটেল পোস্টপেইড (Airtel Postpaid)।
টেলিকম সেক্টরে যা হাল তাতে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। প্রিপেড গ্রাহকদের একটা বড় অংশই Reliance Jio এর দখলে। সেখানে এয়ারটেলের প্রিপেড গ্রাহকের সংখ্যা অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু পোস্টপেইড পরিষেবার দিক দিয়ে রেলিয়ান্সকে টেক্কা দিয়েছে এয়ারটেল। সাথে পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য দুর্দান্ত অফার দিয়ে ভালো সংখ্যক পোস্টপেইড গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে এয়ারটেল।
যেমনটা জানা যাচ্ছে ২০২০ সালের শেষের দিকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এয়ারটেলে ২০২০ সালের শেষ কোয়ার্টারে নতুন করে পোস্টপেইড কানেকশনে যুক্ত হয়েছেনা প্রায় ৭ লক্ষ গ্রাহক। শুধু তাই নয় যদি ২০২০ সালের শেষ ছয় মাসের তথ্য দেখা হয় তাহলে এই সংখ্যাটা আরো বেড়ে ১৮ লক্ষ নতুন পোস্টপেইড গ্রাহক হয়। যেখানে রিলায়েন্স জিও খুব একটা ভালো পারফর্মেন্স দেখতে পারেনি এয়ারটেলের তুলনায়।
অবশ্য জিও কিন্তু পোস্টপেইড গ্রাহকদের মোটেও অবহেলার দিক থেকে দেখছেন না। বরং গত বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকেই পোস্টপেইড গ্রাহকদের দিকে গুরুত্ব বাড়িয়েছিল রিলায়েন্স জিও। সেপ্টেম্বর মাসেই একগুচ্ছ পোস্টপেইড প্ল্যান চালু করেছিল জিও। তবে, সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি জিও।
অর্থাৎ এয়ারটেল যে পোস্টপেইড গ্রাহকদের কাছে বেশি পছন্দের তা বোঝাই যাচ্ছে। এর কারণ হয়তো দীর্ঘদিন ধরে এয়ারটেল ব্যবহার করে আসা মানুষের এয়ারটেলের পরিষেবায় সন্তুষ্টি। কারণ অনেকেই পরিষেবা খারাপ হলে অপারেটর পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। সেখানে পরিষেবা যদি ভালো হয় তাহলে কিছু টাকা বেশি খরচ করতেও রাজি গ্রাহকেরা।