১৯৭৪ সালে বেঙ্গালুরু শহরে জন্ম নেন রেমো। ছোট থেকেই নাচের প্রতি ভালোবাসা এবং আগ্রহ ছিল তার। তার কেরিয়ারের শুরু ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে। তারপর একে একে বলিউডের বহু ছবিতে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এরপর পরিচালনার কাজও শুরু করেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত বাংলা ছবি ‘লাল পাহাড়ের কথা’ দিয়েই তার পরিচালনায় হাতেখড়ি। রেমো পরিচালিত সর্বশেষ ছবি স্ট্রিট ডান্সার থ্রিডি। ছবিতে লিড রোলে অভিনয় করেছিলেন বরুণ ধওয়ান ও শ্রদ্ধা কাপুর। গত বছর বক্স অফিসে মুক্তি পায় এই ছবি। মূলত জি টিভির রিয়ালিটি শো ডান্স ইন্ডিয়া ডান্সের বিচারক হিসাবে লাইমলাইটে উঠে আসেন রোমো। পরে ‘ফালতু’, ‘এবিসিডি’র মত একাধিক ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
কিন্তু আজ নিজের কেরিয়ারে এতটা সফলতা অর্জন করলেও, ছেলেবেলায় নিজের গায়ের রঙের কারণে অসংখ্য অপমান সহ্য করতে হয়েছিল রেমোকে। একটি সাক্ষাৎকারে রেমো সম্প্রতি তার ছেলেবেলার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন। তাঁর কথায়, শৈশবকাল থেকেই আমার ত্বকের বর্ণের কারণে আমি বর্ণবাদ ও কুসংস্কারের মুখোমুখি হয়েছি। এটি এমন একটি বিষয় যা আমি বিদেশের ভ্রমণে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মোকাবিলা করেছি এবং এটির অভিজ্ঞতা আমার কাছে রয়েছে। আমি বুঝতে পারতাম আমার গায়ের রঙের কারণে সকলে আমায় নিয়ে আলোচনা করত। আমি কেবল এটিকে উপেক্ষা করতাম কারণ আমি ভেবেছিলাম যে তারা সম্ভবত এটি বলছে একটি কারণে আর আমি ভাবছি আলাদা”।
তিনি আরও বলেন, অবশেষে, যখন আমি যখন বড় হয়েছি, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি ভুল ছিল এবং আমি তাদের এই নামগুলি বলতে দিই তা আরও খারাপ ছিল! এখন, আমি এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছি। আমার ত্বকের বর্ণে নিয়ে এই মন্তব্যগুলিই আমাকে আজ আমি হতে প্রেরণা দিয়েছিল যাতে আর কেউ আমাকে আর সেই নামগুলি ডাকতে না পারে। তবে বর্ণবাদ এখনও বিদ্যমান; একটি ছোট শহরে বা গ্রামে যান এবং এটি সেখানেই রয়েছে। ”
সম্প্রতি লায়লা মঞ্জু নামক একটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন রেমো। ছবিটিতেও বর্ণবাদবিরোধী ভাবনা চিন্তার প্রকাশ রয়েছে। ছবিতে বর্ণবাদ বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে রেমো জানান, “এই ছবিতে বর্ণবাদকে এত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে আমার ছেলেবেলা মনে পড়ে যায়। ছবিতে অনেক কিছুই রয়েছে যা এতো সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে এবং আমি ফিল্মের অংশ হতে পেরে গর্বিত। “