ভারতের সবচাইতে জনপ্রিয় পানীয় হল চা। শুধু মাত্র ভারতে নয় ভারত ছাড়াও প্রথিবীর অনেক জায়গাতেই চা এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। আমরা সাধারণত দুই ধরণের চা খেয়ে থাকি, দুধ চা ও লাল চা বা লিকার চা। যদিও অনেকেই দুধ চা খেতেই বেশি পছন্দ করেন, তবে লাল চায়ের রয়েছে দুর্দান্ত সব গুণ। আর লাল চায়ের উপকারিতা গুলি একবার জানলে আপনিও দুধ চা ছেড়ে লাল চা খাওয়া শুরু করে দেবেন আজ থেকেই।
লা চা খেলে স্ট্রেস তো কমেই সাথে হজম ক্ষমতা বাড়ানোর মত আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। আজ বংট্রেন্ড এর পেজে আপনাদের জন্য রইল লাল চা খাবার উপকারিতা গুলির তালিকাঃ
১. হার্ট
লাল চা খেলে যে শুধু চাঙ্গা হওয়া যায় তাই নয় লাল চা খাবার উপকারিতার মধ্যে রয়েছে হার্টও। হার্টের পক্ষে লাল চা বেশ উপকারী। কারণ চায়ের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ থাকে যেটা হৃদরোগ হবার আশঙ্কা অনেকটা কমিয়ে দেয়।
২. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি
চা খেলে মাথা ধরা মাথা যন্ত্রণার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর চা যদি হয় লাল চা তাহলে তো আর কথাই নেই! লাল চা এর মধ্যে হালকা আদা কুচি আর নামমাত্র গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে খেলে মুহূর্তের মধ্যেই বেড়ে যাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা।
৩. খাবার হজম
লাল চা যে শুধু খেতে ভালো তা কিন্তু নয়। লাল চা হজমেও সহায়তা করে। কারণ চায়ের মধ্যে থাকে ট্যানিন নামের উপাদান। যা শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সাথে লাল চা খাবার অভ্যাস থাকলে খাবার দাবার হজমও ভালো হয়।
৪. দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ
যেহেতু লাল চা শরীরের পক্ষে ভালো আর সাথে হজমের জন্য উপকারী তাই চা ওজন নিয়ন্ত্রণেও বেশ কাজে দেয়। যেহেতু চা এর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ থাকে তা দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেয়। যার ফলে অতিরিক্ত মেদ ধীরে ধীরে ঝরে যায়। টিভিতে গ্রীন টি এর অ্যাড নিশ্চই দেখেছেন, লাল চা খেলেও সেই কাজ হয় বেশ ভালোই।
৫. হাড়ের গঠন
যত বয়স বাড়তে থাকে মানুষ নানান রোগে জর্জরিত হতে থাকে। এর মধ্যে একটি হল হাড়ের রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস এছাড়াও হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া তো আছেই। কিন্তু জানেন কি চা এর মধ্যে রয়েছে কিছু পরিমাণ ফাইটোকেমিক্যাল যেগুলি হাড়ের গঠনে সহায়তা করে।
৬. স্ট্রেস কমানো
আগেই বলেছি যে চা খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একইভাবে মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়লে ধীরে ধীরে মাথার চাপ কমে ফলে স্ট্রেসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই চা একপ্রকার স্ট্রেস রিলিফও বলা যেতেই পারে।
৭. ক্যান্সারের মত রোগ প্রতিরোধ
চায়ের মধ্যে যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ট্যানিন এর মোট উপাদান থাকে তাই চা শরীরের পক্ষে খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে লাল চা খেলে অনেক সময় ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য ব্যাধির হাত থেকেও বাঁচা যায়। চা মানুষের শরীরে টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এমনকি ফুসফুস, গলব্লাডার, ওভারিয়ান ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করতে পারে।