অবশেষে সংসদের ক্যান্টিনে (parliament canteen) তুলতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, চলতি বছর থেকেই কার্যকর হচ্ছে নতুন দাম। এদিকে নিরামিষ হোক বা আমিষ সংসদের ক্যান্টিনে বিভিন্ন পদের জলের দর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই বিতর্ক চলছিল বিভিন্ন মহলে। এমনকী পেট্রোল-ডিজেল থেকে ভুর্তুকি তোলা, রান্নার গ্যাসে ছাড়ার ডাক দেওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে সংসদ ভবনের খাবরের দাম নিয়ে।
এদিকে ২০১৯ সালেই প্রথম সংসদ ভবনের খাবর থেকে ভর্তুকি তুলে নিয়ে খাবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু হাজারো জটিলতার কারণে তা কার্যকর হতে খানিকটা সময় লাগছিল। এবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার পরামর্শ মেনেই ২০২১-র শুরুতেই সর্বসম্মতিক্রমে নতুন দাম কার্যকর হতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, নতুন দাম কার্যকর হওয়ার ফলে এখন থেকে আর মিলবে না ২ টাকার রুটি, ৬৫ টাকার বিরিয়ানী, ১৮ টাকার নিরামিষ থালি। সংসদীয় ক্যান্টিনের নতুন দামের তালিকাটি ২৯ জানুয়ারি থেকে বাজেটের অধিবেশন চলাকালীন কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে ওই দিন থেকেই একটা রুটির নতুন দাম হতে চলেছে ৩ টাকা। এমনকী ননভেজ বুফের দাম পড়বে ৭০০টাকা। পাশাপাশি ভেজ বুফে লাঞ্চের দাম রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা।
এদিকে এর আগে সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে হায়দরাবাদি বিরিয়ানির দাম ছিল ৬৫ টাকা। আলু বান্দা ছিল ৬ টাকা, ১০ টাকায় মিলত ধোসা। কিন্তু সেসবই এবার অতীতের খাতায় চলে যেতে চলেছে। বর্তমানে নতুন তালিকা অনুযায়ী চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন কাটলেট, চিকেন ফ্রাই এবং ভেজ থালির দাম হয়েছে ১০০ টাকা। চিকেন কারির দাম রাখা হয়েছে ৭৫ টাকা।
পাশাপাশি এখন তেকে মটন বিরিয়ানী মিলবে ১৫০ টাকায়। এদিকে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, সংসদ ভবনের ক্যান্টিনের খাদ্য সামগ্রীর বার্ষিক বিল আসে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এছাড়া এখন থেকে সংসদ ভবনের ক্যাটারিংয়ের সমস্ত দায়িত্বও বর্তমানে উত্তর রেলের পরিবর্তে ভারতের ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনকে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
এদিকে ২০১৯ সালে ক্যান্টিনের ভর্তুকি বাবদ ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। সে সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডি পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি বন্ধ করার কথা জানিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে সাংসদের সংখ্যা ৭৯০। এদিকে সাংসদরা ছাড়াও সমস্ত কর্মী, আমলা মিলিয়ে অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার জন সংসদের ক্যান্টিনে খান। যার বিপুল ভর্তুকির খরচ এতদিন সরকারের কাঁধে এসে পড়ত।