১৯৯৬ সালে বলিজগতে পা রাখেন সলমন খানের দাদা আরবাজ খান (Arbaaz Khan)। ‘ডর’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও (Filmfare Award) জিতে নেন আরবাজ। প্রায় একই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন মালাইকা অরোরা খান (Malaika Arora Khan)। যদিও বর্তমানে দম্পতির কেউই ততটা সক্রিয় নন রুপোলি পর্দায়, কিন্তু আরবাজ প্রযোজক-পরিচালক হিসেবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন একইভাবে।
বলিসূত্রের খবর, ১৯৯৮-এ বিবাহসম্পর্কে আবদ্ধ হন মালাইকা-আরবাজ। ২০০২ সালে তাঁদের প্রথম পুত্র আরহান (Arhan) ভূমিষ্ঠ হয়। বলিসূত্রের মতে, এরপরেই শুরু হয় নানাবিধ সমস্যা। অবশেষে ১৮ বছরের সম্পর্ক ভেঙে ২০১৭-এর ১১ই মে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। করিনা কাপুরের (Karina Kapoor) চ্যাট-শোতে মালাইকা খান-পরিবারের সমস্যা ছাড়াও নিজেদের দাম্পত্য জীবনের নানা ঝামেলার কথাও অকপটে জানান।
চ্যাট-শোতে মালাইকার সাফ বক্তব্য, “আমাদের সম্পর্কে দু’জনের কেউই খুশি ছিলাম না। আমাদের সমস্যার কারণে আমাদের আশপাশের মানুষদের উপরেও প্রভাব পড়ছিল। আমি তাই আর এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে চাইনি। যদিও এটা বুঝতে পেরেছি যে ঠিক কাজ করলেও অন্তত একজন আপনার দিকে আঙ্গুল তুলে আপনাকে দোষ দেবেই। এটাই মানুষের স্বভাব।” ডিভোর্সের আগের দিন নাকি দুই পরিবারের লোকজনই মালাইকাকে তাঁর এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ভাবতে বলেন। মালাইকার মতে, “কাছের মানুষদের এহেন আচরণ খুবই স্বাভাবিক।”
মালাইকা ঘনিষ্ঠদের মতে, ডিভোর্সের সময়ে আরহানের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। যদিও সেই বয়সেই যে আরহান সবকিছু বুঝতে সক্ষম ছিল, সে বিষয়ে জানিয়েছেন মালাইকা। এ প্রসঙ্গে আরবাজ জানিয়েছেন, “ডিভোর্সের পর আরহানের সকল দায়িত্ব পান মালাইকা। এ বিষয়ে আমি কোনো আপত্তি করিনি কারণ ওই বয়সে আরহানের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল একজন মায়ের।” সূত্রের খবর, ডিভোর্সের পর ভরণপোষণ বাবদ প্রায় ১০ কোটি টাকা দাবি করেন মালাইকা। অনেকের মতে, ছেলেকে ভালোবাসার যে কথা বারংবার বলতেন আরবাজ, ছেলের বেড়ে ওঠার জন্য টাকা দিয়ে তা প্রমাণ করেন আরবাজ।