মানুষের মতো পৃথিবীরও (Earth) যেন ক্রমেই বাড়ছে ব্যস্ততা। যেন চোখের পলক পড়তে না পড়তেই পেরিয়ে যাচ্ছে সময়। এতদিন ভূগোল (Geography) বইতে পড়ে আসা সমস্ত ধারণাও বুঝি বদলাতে বসেছে। কেননা ২৪ ঘন্টার আগেই এখন শেষ হয়ে যাচ্ছে দিন। বিজ্ঞানীরাও এমনটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন, ধীরে ধীরে কমছে দিনের মেয়াদ। কারণ ‘প্ল্যানেট আর্থ’—এ আজ-কাল-পরশু, কোনও দিনই কিন্তু এখন আর ২৪ ঘণ্টার ‘ফুল টাইম লিমিট’ পেরোচ্ছে না! যবনিকা পতন ঘটছে আগেই।
এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, গত কয়েক দশক ধরে নিজের কক্ষের চারিদিকে পৃথিবীর আবর্তনের গতি ক্রমেই বাড়ায় ছোট হয়ে আসছে দিন। বিগত ৫০ বছর ধরেই ২৪ ঘন্টার আগেই পৃথিবীর ঘূর্ণনের স্পিড বেড়ে চলেছে। ২০২০ সালের ১৯ জুলাই, দিন সম্পূর্ণ হয়েছিল ২৪ ঘণ্টার কাঁটা স্পর্শ করার ১.৪৬০২ মিলিসেকেন্ড আগে। ১৯৬০ সাল থেকে হিসাব করলে বিগত ২০২০ বছরটিতে স্বল্পতম দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংখ্যা চলতি বছরে আরও বাড়বে। ২০২১ সালে গড়ে প্রতিদিনের মেয়াদ ২৪ ঘণ্টা থেকে ০.০৫ মিলিসেকেন্ড কম হবে।
বিষয়টি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক, ড. সুনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “দিনের সময়সীমা ক্রমশ কমছে ঠিকই। কিন্তু সেটা নেহাতই কম। অ্যাটমিক ক্লক ছাড়া এর পরিমাপ সম্ভব নয়। মিলিসেকেন্ড মানে এক সেকেন্ডের হাজার ভাগের এক ভাগ। সুতরাং, আমরা এই মেয়াদকে নগণ্যই ধরতে পারি।” কিন্তু এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা দায়ী করছেন হিমবাহের গলন, গ্রীণ হাউস গ্যাসের বাড়বাড়ন্ত, গ্লোবাল ওয়ার্মিংকেই।