ভবিষ্যতের কথা ভেবে টাকা সঞ্চয় (Save Money) সকলেই করতে চায়। কিন্তু কজন আর সফল হয়! অনেকেই অনেক চেষ্টা করেন কিছু টাকা সঞ্চয় করার। কিন্তু শেষমেশ ব্যর্থ হন। এই যেমন ধরুন আপনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেন টাকা উপার্জনের জন্য। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেতেই চলেছেন, অর্থ উপার্জনের জন্য। অথচ পকেটের হাল সেই একই রয়ে যাচ্ছে। না আছে বাং ব্যালেন্স না আছে হাতে টাকা, সঞ্চয় তো পরের কথা।
অনেকে অনেকভাবে প্লানিং করেন যে এভাবে টাকা সঞ্চয় করবেন অভাবে সঞ্চয় করবেন। কিন্তু জানেন কি টাকা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে বাস্তুর প্রভাব। যদি বাস্তু মেনে চলেন তাহলে আপনার টাকা সঞ্চয় ঠিকই হবে। তাঁর জন্য সকাল থেকে রাত পরিশ্রম না করলেও হবে। তাই যদি সঞ্চয় করতে হয় তাহলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে ঠিকই টাকা সঞ্চয় হচ্ছে।
টাকা আমরা সাধারণত বাড়িতে আলমারি বা সিন্ধুকে রেখে থাকি। তাই যদি আপনি বাড়িতে টাকা রাখেন, সে আলমারি হোক কাঠের দেরাজ হোক আর সিন্ধুকই হোক না কেন। চেষ্টা করবেন যাতে সেটি বাড়ির উত্তর দিকে অবস্থান করে।
বাড়িতে সাজা গোজা থেকে শুরু করে মুখ দেখা, চুল আঁচড়ানো এই সব কারণে আয়না থাকে। কিন্তু আয়নার কাঁচ যদি কখনো ভেঙে যায় তাহলে তা তখুনি বদলে ফেলুন। কারণ ভাঙা কাছে মুখ দেখা কিন্তু একেবারে অশুভ। আর ওই ভাঙা কাঁচের টুকরোও বাড়িতে রাখবেন না।
অনেকেরই ব্যস্ত জীবনে আরাম টুকু করার সময় পান না। এদিকে ঝাড়পোছের অভাবে বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়তে থাকে। আর বাড়িতে মাকড়শা ছেয়ে গেলে চারিদিক মাকড়সার জালে ভরে যায়। এই মাকড়সার জাল কিন্তু বাড়ির পক্ষে একেবারে অশুভ। তাই ঘরকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।
বাড়ির চিলে কোঠা বা অন্যত্র কোথাও পায়রার বাসা নেই তো! যদি থাকে তাহলে সেই বাড়িতে লক্ষী থাকে না। তাই সঞ্চয় তো দূরের কথা টাকা রীতিমত চোখেই দেখা যায় না।
অনেক সময় বাড়িতে মৌচাক হতে দেখা যায়। এতে যেমন বাড়ির লোকেদের ক্ষতি হবার আশঙ্কা থাকে, তেমনি বাড়ির জন্যও এটি খুবই অশুভ। তাই মৌমাছির হতে দেবেন না।