বর্তমানে টেলিভিশনের টিআরপি তালিকার প্রায় শীর্ষে রয়েছে বিগবস ১৪ (Bigboss 14)। উত্তেজক পর্ব ও প্রতিযোগীদের নানাবিধ বক্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই সরগরম নেট-দুনিয়া। বিগবসের সাম্প্রতিক পর্বে রাহুল বৈদ্যকে (Rahul vaidya) উচিৎ শিক্ষা দিলেন সলমান খান (salman khan) যা ঘিরে তোলপাড় আন্তর্জালমহল।
বিগবসে সম্প্রতি ‘ক্যাপ্টেন্সি টাস্ক’ দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। কিন্তু প্রতিযোগীদের গা-ছাড়া মনোভাবে ক্ষুব্ধ হন ভাইজান। যদিও এরই মাঝে প্রতিযোগীদের ডেকে রাহুল বৈদ্য ও বিকাশ গুপ্তাকে ‘ক্যাপ্টেন’ পদের জন্য অগ্রণী হিসেবে বিবেচনার কথা জানান ভাইজান। আর এতেই সমস্যা শুরু হয় বিগবসমহলে। সলমনের মতে, শো-চলাকালীন এই দু’জন বিগবস হাউস ছেড়ে বেরোলেও আর কোনো প্রতিযোগীই সে সাহস করে উঠতে পারেননি।
বিগবস সূত্রে জানা যায়, আলী গোনি বিগবস প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার সময় নাম জড়ায় আরশি খান ও বিকাশ গুপ্তা। অন্যদিকে, বিগবস হাউসের সাথে কোনোরকম আত্মিক সংযোগ খুঁজে না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন রাহুল। এরপর বৈদ্য হাউস থেকে বেরিয়ে গেলেও পুনরায় কিছু সপ্তাহ আগেই ফিরে আসেন তিনি।
বিগবস হাউসে নানাবিধ মন্তব্যের জেরে মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা গিয়েছে প্রতিযোগিতায়। কিছু সপ্তাহ আগেই হাউস থেকে পালিয়ে যাওয়ার হাস্যকর অভিযোগে অন্যান্য প্রতিযোগীরা রাহুল বৈদ্যর নামকরণ করেন ‘ভাগোরা’, ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েন রাহুল। অন্যদিকে, রাহুল মহাজনের সঙ্গে কথা বলার সময়েও রাহুল বৈদ্যর নাম উল্লেখ করেন সলমন। পাশাপাশি ‘এমপিএল কলার অফ দ্য উইক’-এর প্রশ্নে অভিনব শুক্লা জানিয়েছেন যে রাহুল ও অ্যালি একটি ‘ইউনিট’ হিসেবে খেলেন। যথারীতি গসিপের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি সলমনের কাছে অভিযোগ করেছেন রাহুল। বৈদ্যর দাবি, তাঁকে যেন ‘ভাগোরা’ বলে না ডাকা হয়। ভাইজানও একইভাবে জানিয়েছেন যে হাউস ছেড়ে পালানোর সময়ে এই কথা মনে রাখা উচিত ছিল। সলমন ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গিতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, রাহুল মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য হাউস ছেড়ে পালাননি, তিনি পালিয়েছিলেন দিশা পার্মারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে। বর্তমানে দর্শকদের মধ্যেও দ্বিমত লক্ষ্য করছেন বিনোদনজগতের বোদ্ধারা। কেউ কেউ রাহুলকে সমর্থন করলেও অধিকাংশই বলছেন, যেভাবে অভিভাবক সুলভ ভঙ্গিতে রাহুল বৈদ্যকে বুঝিয়েছেন সলমন, তাতে বিগবসের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত রাহুলের!