আগেকার দিনে জমিদার ঠিক শুরু করে রাজারা গুপ্তধন লুকিয়ে রাখতেন। আবার এমনও শোনা যায় ডাকাতেরা নাকি লুট করা ধন সম্পত্তি লুকিয়ে রাখতেন। এই গুপ্তধনের মধ্যে রয়েছে রাশি রাশি স্বর্ণ মুদ্রা (Gold Coins)। ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কে। যেমনটা জানা যাচ্ছে প্রায় ৯৯ টন ওজনের সোনা (Gold) পাওয়া গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে তুরস্কের সোগুটে খোঁজ মিলেছে এই বিপুল পরিমান গুপ্তধনের। তুরস্ক গাবরেটাস ফার্টিলাইজার প্রোডাকশন অ্যাগ্রিকালচারল ক্রেডিট কো-অপারেটিভ প্রধান ফাহরেটিন পোরাজে এই খবরটি প্রথম জনসমক্ষে আসেন। ফাহরেটিনই এই স্বর্ণ ভান্ডারের খবর সংবাদ মাধ্যমের কাছে পৌঁছে দেন। তুরস্কের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এই স্বর্ণ ভান্ডার আবিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই সোনার মূল্য প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বা ৪৪ হাজার কোটি টাকা, ভাবতে পারছেন! এই বিপুল টাকা যা গোটা দেশে কারোর আর অর্থাভাব থাকবে না। খোঁজ পাওয়া সোনার মূল্যই কিছু দেশের জিডিপির থেকেও বেশি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভূটানের জিডিপি ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার, বুরুন্ডি জিডিপি ৩.১৭ বিলিয়ন ডলার, লাইবেরিয়ার জিডিপি ৩.২৯ ডলার, মলদ্বীপের জিডিপি ৪.৮৭ বিলিয়ন ডলার।
তুরস্কের মন্ত্রী ফাতেহ ডনমেজ সেপ্টেম্বর মাসে জানিয়েছিলেন মোট ৩৮ টন সোনা তুলোন করা হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১০০ টন পর্যন্ত সোনা (Gold) উত্তোলনের প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, যাই হোক না কেন এই বিশাল পরিমান সোনার উদ্ধারের ফলে দেশের হাল ফিরবে ও অর্থনীতি আরো মজবুত হবে বলেই মনে করছেন গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল।