শীতের আমেজ বড়োই মধুর একথা ঠিক, কিন্তু শীতের একটা বড় সমস্যা হল ত্বকের শুষ্কতা। আর কারোর ত্বকের ধরণ যদি প্রথম থেকেই শুষ্ক প্রকৃতির হয় তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রমেই হারাতে থাকে ত্বকের আদ্রতা। যত্ন না নিলে দেখা দিতে পারে বলিরেখা, কুঁচকে যেতে পারে ত্বক। কিন্তু ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্ত সমস্যার মুশকিল আসান সম্ভব।
জল-
শুষ্ক ত্বক থেকে রেহাই পেতে প্রথমেই সর্বাগ্রে দরকার অধিক পরিমাণে জলপান করা। জল শরীরে আদ্রতার পরিমাণ বাড়ায়। এইসময় তাই ডাবের জল, ফলের রসও ত্বকের পক্ষে খুবই উপযোগী।
দুধ/ দই:
রুক্ষ, শুষ্ক, ফাটা ত্বকে অনেক সময়েই জ্বালা বা চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা যায়৷ এইসব সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী দুধ বা দই। এক লিটার ঠান্ডা দই বা দুধে নরম কাপড় বা তুলো ভিজিয়ে নিন সর্বাঙ্গে লাগান৷ অন্তত পাঁচ মিনিট এই প্রলেপটি ব্যবহার করুন৷ তাতে ত্বকের জ্বালাভাব দূর হবে৷ দই বা দুধে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিডের প্রভাবে ঝলমলিয়ে উঠবে আপনার ত্বক৷ কাঁচা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন৷ প্রলেপটি খানিকক্ষণ রেখে স্নান সেরে নিন।
মধু ও পাকা কলা:
পাকা কলা ও মধু একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন৷ মুখে লাগান প্রলেপের মতো করে, তার পর 20-25 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ও ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান৷ এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা, তা হয়ে উঠবে নরম ও কোমল৷
অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা এমনই একটি উদ্ভিদ, যা টবে লাগালে খুব সহজেই বেড়ে ওঠে৷ একটি অ্যালো ভেরা পাতা নিন, মাঝখান থেকে কেটে ফেলুন সেটিকে৷ শাঁসটা বের করে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন৷ জ্বালাভাব, চুলকানি মুহূর্তে কমে যাবে৷ সেরে যায় ছোটখাটো ইনফেকশনও৷ আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি এই শাঁস বা জেলের পরত আপনার ত্বকের উপর তৈরি করে রাখে সুরক্ষার আবরণ, তাতে দূষণ আপনার ত্বকে কোনও ছাপ ফেলতে পারে না৷