প্রত্যন্ত গ্রাম। গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িই টিনের। অভাব যেন এই অঞ্চলকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এই প্রত্যন্ত এলাকায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে সুবিশাল অট্টালিকা। এযেন এক্কেবারে রূপকথা। নিম্নবিত্তদের মাঝে হঠাৎ গজিয়ে উঠেছে শ্বেতপাথরের ঝাঁচকচকে প্রাসাদ, যা দেখলি আপনিও অবাক হবেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের সরকারপাড়া নামের একটি গ্রামের প্রবেশ পথেই শ্বেতপাথর তৈরি এ অট্টালিকা স্বাগত জানায় আগন্তুকদের। হঠাৎ দেখে এই প্রাসাদকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ভেবেও ভুল হতে পারে।
এই প্রাসাদ দেখতে এখন শয়ে শয়ে দর্শক ভীড় জমায় গ্রামে। গড়ে উঠেছে ছোটখাটো পর্যটন কেন্দ্র। এলাকায় গজিয়ে উঠেছে হোটেল। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, এটা কি তবে কোনো রাজপ্রাসাদ? কে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই প্রাসাদ কোনোও তথাকথিত রাজার নয়। পাশাপাশি এই দুটি প্রাসাদ তৈরি হয়েছে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে। এর পেছনে খরচ করা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। ২০০৬ থেকে শুরু করে এই বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে।
এই বাড়ির মালিকের নাম সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন টুটুল। কিন্তু এই বাড়িতে একরাত ও থাকতে পারেননি। টুটুল এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবাসে রয়েছেন বলেই জানে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা আরও জানায়, ২০০৬ সালে হঠাৎ করে সাখাওয়াত হোসেন টুটুল অনেক টাকার মালিক হয়ে যান। সেসময় তার পৈতৃক টিনের বাড়ির পাশে প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা নিয়ে এই বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেন। পাশাপাশি দুটি বিল্ডিং তৈরি করেন তিনি। বাড়ি নির্মাণ শেষে এর বাইরের দেয়াল ও সীমানা প্রাচীরে টাইলসের পরিবর্তে শ্বেতপাথর স্থাপন করেন। এর আগে শ্বেতপাথর শুধু সিনেমায় দেখেছেন বলে জানান গ্রামবাসীরা।