প্রেম ভালোবাসায় যে বয়স বাঁধা হয়ে দাঁড়াতেই পারেনা তা ফের প্রমাণ হল কলকাতার বুকে। বাবারা যেমন সন্তানদের ভালো মন্দ, সুখ সুঃখের কথা ভাবেন, তেমনই ছেলেরও দায়িত্ব তার বাবা মায়ের মনের খবর রাখা।
কলকাতা নিবাসী ৬৬ বছরের তরুণ কান্তি পাল স্ত্রী হারা হয়েছেন প্রায় ১০ বছর হল। একাকীত্ব ক্রমেই যখন গ্রাস করছিল তখন তিনি প্রেমে পড়েন ৬৩ বছরের স্বপ্না রায়ের। নিত্য তিনি ভট্টনগর অঞ্চলে থাকা রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সকাল সন্ধ্যে হাঁটতে যেতেন। এবং সেই আশ্রম প্রাঙ্গনেই নিত্য হাঁটতে আসতেন স্বপ্না দেবী। সেইখান থেকেই প্রেম শুরু হয় তাদের।
স্ত্রী মারা যাওয়ার পর একাই থাকতেন তিনি। একমাত্র ছেলে সায়নও কর্মসূত্রে কানাডায় থাকেন। কিন্তু এবার বাবার একাকী জীবনে নিজের হাতেই বসন্ত এনে দিল ছেলে। সম্পূর্ণ সামাজিক রীতি নীতিতে ৬৬ বছর বয়স্ক বাবার বিয়ে দিল সায়ন। পেল নতুন মা। এই নির্ভেজাল প্রেমকে পূর্ণতা দিতে পেরে বেজায় খুশি সায়ন।
বাবার মনের হৃদিশ পাওয়া মাত্রেই কানাডা থেকে কলকাতা উড়ে আসেন সায়ন। দাঁড়িয়ে থেকে ধুমধাম করে বিয়ে দেন তার। বাবা সঙ্গী পেয়েছেন, বাবা সুখী হবেন, মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন, এর চেয়ে ভালো পাওয়া সন্তানের জীবনে আর কিছু হতে পারে না। এই সময় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলাশেষে’ ছবির কিছু দৃশ্য যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
So, my Dad got married the day before. The ceremony was (mostly) masked and just with close friends & family. It was both surreal and fun. After 10 years of being alone since my mom died, I’m glad that he found love again! pic.twitter.com/qGaD3u5CuA
— Shayon Pal (@shayonpal) November 27, 2020