করোনার (corona virus) ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ভাইরাসটি প্রায় প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে।তবে এই সময়ের মধ্যে কিছু লোকের সম্পত্তিও বেড়েছে। ফোর্বসের মতে বর্তমানে বিশ্বের ধনী ব্যক্তি হলেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।তাঁর সম্পদ রয়েছে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকার শীর্ষ ৫ এ কোনও ভারতীয় নেই। তবে ছয় নম্বরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি (mukesh ambani)।
তবে আজ আমরা যার কথা আপনাকে বলতে চলেছি, তার সামনে এই তালিকায় কোনও ব্যক্তি উপস্থিত নেই। এই লোকটি এত ধনী ছিল যে একদিনে তিনি আম্বানির মোট সম্পত্তির চেয়ে বেশি অর্থ দান করতেন। তবে এর কারণে শেষপর্যন্ত তিনি এবং তাঁর দেশ উভয়ই দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন।
ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী রাজা হিসেবে পরিচিত মানস মুসা। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও উদার রাজার মধ্যে গণ্য হন। রাজা মুসা ১৯৮০ সালে একটি রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
মুসা ছিলেন মিশরের মালির রাজা। তখন সোনার ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য একটি বড় বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। মালি দেশ এতে প্রচুর উপকৃত হয়েছিল। সেই সময়ে, মালি দেশটি বিশ্বের অর্ধেক স্বর্ণ ছিল।এমতাবস্থায় রাজা মুসার উদার মনোভাবের জন্য তাকে শেষমেশ রাজা থেকে হতে হয়েছিল দেউলিয়া। বলা হয় একবার এক হজযাত্রা চলাকালীন রাজা মানুষকে প্রচুর স্বর্ণ দান করেছিলেন। এতে মিশরের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। মুসার পুরষ্কারের কারণে সোনার দাম কমতে থাকে।
লন্ডনের স্কুল অফ আফ্রিকান এবং ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের লুসি ডুরান বলেন, মালির চারণকবি, যারা কিনা গানের সুরে ইতিহাস বর্ণনা করতেন, তারা মানসা মুসার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”তিনি মালির এত বেশি স্বর্ণ দান-খয়রাত করেন যে তারা (চারণকবিরা) তাদের গানে মানসা মুসার প্রশংসা করেন না। কারণ তারা মনে করেন, তিনি দেশটির সম্পদ বিদেশের মাটিতে নষ্ট করেছেন”।