যত দিন যাচ্ছে ততই বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনধারা। আর এই জীবনধারার পরিবর্তনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে এসেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। একসময় টেলিফোনে যোগাযোগ হত এখন সেলফোন থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট ফোন সবই রয়েছে হাতের মুঠোয়। ঘোড়ার গাড়ি থেকে এখন স্পোর্টস কারে চলে এসেছে মানুষ। আসলে সময়ের সাথে সাথে মানুষ বুঝতে শিখেছে সময় বড় দামি! তাই যতটা সম্ভব কম সময়ে বেশি কাজ করতে চাইছে মানুষ।
এবার সময়ের মূল্যকে গুরুত্ব দিয়ে যাতায়াতের পরবর্তী প্রজন্মের আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (Science & Technology)। সুপার-স্পিড হাইপারলুপ (Spuer Speed Hyper Loop), অত্যাধুনিক এই পদ্ধতিতে খুবই কম সময়ে দীর্ঘ যাত্রাপথ অতিক্রম করা যাবে। এই সুপার-স্পিড হাইপারলুপের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ১০০০কিমি/ঘন্টা গতিবেগে ভ্রমণ করতে পারবেন।
অত্যাধিনিক এই সুপার-স্পিড হাইপারলুপটিকে নেভাদার লাস ভেগাসে একটি ৫০০ মিটার ডেভলুপ পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এরমধ্যে সংস্থাটি প্রায় ৪০০ এরও বেশি পরীক্ষা চালিয়েছে। ভার্জিন হাইপারলুপের চেয়ারম্যান তথা প্রধান কর্মকর্তা সুলতান আহমেন জানিয়েছেন, ‘আমরা চোখের সামনে ইতিহাস তৈরী হতে দেখতে পাচ্ছি! এর জন্য আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। প্রায় ১০০ ধরে এই পরীক্ষা চলছে, যার ফলস্বরূপ আমরা হাইপারলুপের মত একটি গণপরিবহন মাধ্যম পেতে চলেছি।
সাথে সুলতান আরো বলেন, প্রযুক্তির সাথে মানুষের ও পণ্যের পরিবহের সময় তাদের সুরক্ষার ওপরেও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছি। যার ফলাফলে আমরা বেশ সন্তুষ্ট। এই পরিবহ মাধ্যমটি চালু হলে নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। অর্থাৎ পরিবহন মাধ্যমের স্পিড হবে জেট প্লেনের দ্বিগুন। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী হবে বলেই আশা করা যায়। সম্ভব ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যেই এই পরিষেবাটি মানুষের জন্য চালু করা যাবে বলেন আশাবাদী সংস্থা।