‘ফিদা’ সিনেমায় প্রথম জুটি বাঁধেন শাহিদ-করিনা। সেই শুরু, তারপর থেকেই ক্রমশ একে-অপরের কাছাকাছি আসতে শুরু করেন দু’জনে। মাঝে এমন এক সময় আসে, যখন শাহিদকে ছাড়া একমুহূর্তও থাকতে পারতেন না করিনা। এই কারণেই হয়তো নতুন কোনো ছবির অফার পেলেই প্রযোজকের কাছে করিনা এবং শাহিদ অনুনয় করতেন যাতে তাঁদের একে-অপরের বিপরীতে নেওয়া হয়!
সম্পর্কে থাকাকালীন যে ক’টি সিনেমায় একসাথে কাজ করেছেন শাহিদ-করিনা, সবকটিই ফ্লপ তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে। যদিও তাঁদের বিচ্ছেদের সময়েই তাঁদের শেষ যে সিনেমায় একসাথে কাজ করতে দেখা যায়, সেই সিনেমাটিই বক্সঅফিসে তুমুল সারা জাগায়। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় দু’জনের আসল রসায়ন চোখে পড়ে সকলের।
‘জব উই মেট’-এর আগে থেকেই সংবাদমাধ্যমে শাহিদ-করিনার প্রেমকাহিনী চর্চার কেন্দ্রে ছিল। করিনা ঘনিষ্ঠদের মতে, করিনার মা ববিতা ও দিদি করিশমা মনে করতেন, সিনেমা জগতের মাপকাঠিতে করিনার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে শাহিদ। পরবর্তীতে ববিতা রাজি হলেও করিনার দিদি তাঁদের সম্পর্কে সম্মতি দেননি বলেই জানা যায়।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, করিশমার বারণ উপেক্ষা করার কারণেই করিনা ও তাঁর দিদির মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। অন্যদিকে বনিবনা না হওয়ার কারণে ‘জব উই মেট’-এর শ্যুটিং শেষের পরপরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁদের প্রেমকাহিনীর পাশাপাশি তাঁদের ব্রেকআপের গল্পও মিডিয়ায় হেডলাইন হয়ে দাঁড়ায়! জানা যায়, সেইসময় তাঁদের বিচ্ছেদ ঘিরে দীর্ঘ গোলমালের সৃষ্টি হয়, শাহিদ-করিনার এমএমএস ছড়িয়ে পড়ে নেট-দুনিয়ায়।
মিডিয়া সূত্র বলছে, তাঁদের বিচ্ছেদের পরেই শাহিদ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন অমৃতা রাওয়ের। অন্যদিকে করিনা ও সইফ সম্পর্কে আবদ্ধ হন। করিনা ঘনিষ্টদের মতে, শাহিদ ও করিনার সম্পর্ক ভাঙার প্রধান কালপ্রিট করিশমা। করিশমাই নাকি করিনাকে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন যাতে তিনি শাহিদের থেকে দূরে থাকেন।