শাহরুখ কন্যা সুহানা খান এখন যুব সমাজের নয়া সেনসেশন। তার ভক্তকূল অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন কবে তার দেখা মিলবে বড় পর্দায়। ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে সুহানার অসংখ্য ফ্যান ক্লাব। এর মধ্যেই সুহানার কলেজে পড়াকালীন একটি মিষ্টি ছবি তুমুল ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়ায়।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সুহানা খুব আদর আর স্নেহের সঙ্গে একটি শিম্পাঞ্জির বাচ্চাকে কোলে নিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন। এবং তার মুখে কোমল একটি হাসি। সুহানার এই ছবি তার ভক্তকূলের বেজায় মনে ধরেছে।
দিন কয়েক আগেই, সুহানার একটি ইন্সটা-পোস্টে একজন কমেন্টবক্সে তাঁকে ‘কালি’ বা ‘কুৎসিত’ নামে অভিহিত করেন। আত্মবিশ্বাসী সুহানা যথাযোগ্য ভঙ্গিতে তার উত্তর দেন। পশ্চিমী হোক বা নিখাদ ভারতীয়, প্রত্যেক ধরনের পোশাকই নিজস্ব ভঙ্গিমায় ‘ক্যারি’ করতে পারেন সুহানা। ফলে এমনতর কটু সমালোচনার জবাব দিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সুহানাকে।
ইন্সটা-পোস্টে সুহানা লেখেন : “আমার যখন ১২ বছর বয়স, তখন থেকেই চাপা গায়ের রংয়ের কারণে নানারকমের কটু সমালোচনা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। সবচেয়ে দুঃখের কথা এই যে, পূর্ণবয়স্ক তথাকথিত শিক্ষিতরা এটা বুঝতে পারেন না যে, ভারতীয় হওয়ার দরুণ এই বাদামি-ই আমাদের প্রকৃত গায়ের রঙের রঙ। আমরা যত চেষ্টাই করি না কেন, মেলানিনের থেকে পালানো অসম্ভব। আর তাছাড়া যাঁরা নিজের দেশের মানুষকে হেয় করেন, তাঁরা করুণারও অযোগ্য।”
ভারতের চলমান সামাজিক ভাবধারাকে দৃপ্তভাবে ভেঙে দেন সুহানা। নিজস্ব পোস্টে লেখেন, “আমি দুঃখিত যে কিভাবে মানুষ সমাজের থেকে এইসব রুচিহীন শিক্ষা পায়। সমাজ শিখিয়ে দেয় যে তোমার উচ্চতা ৫’৭”-এর কম হওয়া যাবে না। আমি গর্ব করে বলি যে আমার উচ্চতা ৫’৩” এবং আমি সুন্দর।” ‘এন্ডকালারিজম’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নিজস্ব পোস্টকে সকলের কাছে পৌঁছে দেন সুহানা।