মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) Reliance Jio ২০১৬ সালে পথ চলা শুরু করেছিল। শুরুতে ফ্রি ৪জি ডেটা দিয়ে সমস্ত দেশবাসীর মন জিতে নিয়েছিল জিও। সাথে মোবাইল ইন্টারনেটের বিপ্লব এনেছিল জিও। এর পর থেকে যত দিন গেছে ততই বেড়েছে জিও এর গ্রাহক সংখ্যা। বাজারে বাকি সমস্ত টেলিকম সংস্থাদের প্রায় নস্যাৎ করে ভারতের তথা বিশ্বের দ্রুততম ছড়িয়ে পরে টেলিকম সংস্থা হয়ে ওঠে রিলায়েন্স জিও।
এবার ভারতের টেলিকম সংস্থার ইতিহাসে আবারো একটি নতুন রেকর্ড করল জিও। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাকি সমস্ত টেলিকম অপারেটরদের পিছনে ফেলে দিয়েছে জিও। ভারতের প্রথম ৪০ কোটিরও বেশি গ্রাহকযুক্ত হিসাবে রেকর্ড করেছে রিলায়েন্স জিও।
রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে বছরের দ্বিতীয় ত্ৰিয়মাসিকে জিওতে নতুন গ্রাহক হয়েছেন প্রায় ৭৩ লক্ষ্য মানুষ। জিও এর পরিসংখ্যানে এই গ্রাহক সংযুক্তির ফলে মোট গ্রাহকের সংখ্যা তো বেড়েছেই। সাথে বেড়েছে গ্রাহক প্রতি আয়। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিওর গ্রাহক প্রতি যায় ছিল ১৪০ টাকা যা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বেড়ে হয়েছে ১৪৫, অর্থাৎ ৩.২% বৃদ্ধি হয়েছে গ্রাহক প্রতি আমদানিতে।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী জিওর গ্রাহক সংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে সেপ্টেম্বরেই। সে মাসে জিওর মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০.৫৬ কোটিতে , যা বাৎসরিক হিসাবে ধরলে প্রায় ১৫% হরে বৃদ্ধি। এছাড়াও জিওর সর্বমোট ওয়্যারলেস ডেটা ট্রাফিক ও বৃদ্ধি পেয়েছে আগের বছরের তুলনায়। গত বছরের থেকে প্রায় ২০% বেড়ে জিওর বয়ঃসরিক ওয়্যারলেস ডেটা ট্রাফিক এখন ১৪৪২ কোটি জিবি। এই বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে করোনা মহামারী। কারণ লকডাউনে অনেকেই ঘরবন্ধী হয়ে পড়েছিলেন। তখন ইন্টারনেটই ছিল সময় কাটানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
তবে, এখানেই শেষ নয়, আগের বছরের তুলনায় এবছর জিওর লেভার পরিমান বেড়েছে প্রায় দ্বিগুনেরও বেশী। গত বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিওর লাভ হয়েছিল ৯৯০ কোটি টাকা যেটা এবছরে ৩০২০ কোটি তাকে পৌঁছেছে। অর্থাৎ শুধু যে মোট গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে তা নয়। গ্রাহকদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাভের অঙ্ক। অবশ্য জিও নিজের প্লানগুলির মূল্যই আগের তুলনায় কিছু বাড়িয়েছে। সাথে জিও ভারতে 5G এর প্রস্তুতি চালাচ্ছে।