বলিউডে ছোট নবাব নাম পরিচিত সাইফ আলী খান। কারণ বলিউডে তিনিই একমাত্র অভিনেতা যার আছে একটি আস্ত প্রাসাদ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন আস্ত একটা প্রাসাদ! হরিয়ানার গুড়গাঁওয়ের পাতৌদি শহরে পাতৌদি প্যালেসের মালিক সাইফ আলী খান। এই পাতৌদি প্যালেস শহরের অন্যতম আকর্ষণ ভ্রমনকারীদের জন্য। সম্প্রতি ছোটে নবাব তার ৮ম বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছেন এই পাতৌদি প্যালেস থেকেই।
সময় পেলেই পাতৌদি প্যালেসে গিয়ে ছুটি কাটায় সাইফ পরিবার। “ভীর জারা ( Veer Zaara ), “গান্ধী (Gandhi ), “মেরে ব্রাদার কি দুলহান (Mere Brother Ki Dulhan ) এর মতো ছবির শুটিং হয়েছিল এই প্রাসাদেই। কিন্তু, এর প্রাসাদটি সাইফকে কিনতে হয়েছিল তার অভিনয় জগতের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে। যদিও প্রাসাদটি তার পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে উত্তরাধিকার সূত্রে পাবার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি, নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়েই তাকে কিনে নিতে হয়েছিল হরিয়ানার পাতৌদি প্যালেস। টাকার অঙ্কটাও নেহাত কম নয়।
পাতৌদি প্যালেসটি ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই প্রাসাদে রয়েছে মোট ১৫০টি ঘর, যার মধ্যে ৭টি সাজঘর, ৭ টি শোবার ঘর, ও ৭টি বিলিয়ার্ড ঘর। এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়েছেন তার জীবনের কঠিন সংঘর্ষের কথা। তিনি বলেন পাতৌদি প্যালেস টি তার বাবা মানসুর আলী খানের, তিনি মারা যাবার পর প্রাসাদটিকে আবার নতুন করে সাজিয়েছিলেন। এরপর তা এক হোটেল চেনকে লিজ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় প্রাসাদটি তিনি ফেরত পেতে চান কিনা! তখন সাইফ প্রাসাদটি ফিরে পেতে চান ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রাসাদটি ফেরত যাবার জন্য হোটেল চেন মোটা টাকা দাবি করে।
হোটেল চেন থেকে প্রাসাদটি কিনে নিতে হয়েছিল সাইফ আলী খানকে। মোট ৮০০ কোটি টাকার বিনিময়ে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার কথা যে প্রাসাদের সেটি কিনতে হয়েছিল অভিনেতাকে। যার জন্য বলিউড থেকে উপার্জিত প্রায় সমস্ত তাকাই চলে গিয়েছিল। এবিষয়ে সাইফ বলেন “যে বাড়িটি আমার উত্তরাধিকার সূত্রে পাবার কথা, সেই বাড়িটি আমায় কিনে নিতে হয়েছে তাও বলিউডে কাজ করে উপার্জন করা টাকা দিয়ে। কথায় আছে লোকেরা তাদের অতীতকে বাঁচাতে সক্ষম হয়না, এই ঘটনা তারই একটা উদাহরণ। লালন পালন করা সত্ত্বেও কোনো উত্তরাধিকারই ছিল না প্রাসাদের। “