ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা ১৭ই জুন লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশে ক্রমেই বাড়তে শুরু করে উত্তেজনার পারদ। সংঘর্ষের জেরে আরও তিক্ত হয়েছে দু’দেশের সম্পর্কও। সেই রেশ এসে পড়ে দেশীয় বাজারেও। এর আগেই চিনের সাথে সমস্ত স্বাভাবিক সম্পর্ক ও একাধিক বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ডাক দেওয়া হয় ভারতের তরফে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে চিনকে আরও কোণঠাসা করে দিতে একাধিক চিনা অ্যাপের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার।
এবার চিনকে আরও ভাতে মারতে ভারতে এয়ার কন্ডিশান, রেফ্রিজারেটর এর মত দ্রব্যও দেশে আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশীয় শিল্পে উৎসাহ দিতেই সরকারি কারের এই সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, ভারতে এসি রেফ্রিজারেটর সহ এই জাতীয় বেশিরভাগ দ্রব্যই আসে বিদেশ থেকে, যার মধ্যে এগিয়ে চিন ও থাইল্যান্ড। এবার সরকারের এই সিদ্ধান্তে ধাক্কা খেতে চলেছে বেজিং।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন চিন-ভারত বানিজ্যিক সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে বরাবরই চিনের ক্ষেত্রে লাভজনকই ছিল। বর্তমানে এই পথে বেজিংকে ভাতে মারতে চাইছে নয়া দিল্লি। চিনা অর্থনীতিকে বড়সড় ধাক্কা দিতে দেশে চিনা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিতে চায় কেন্দ্র। সদ্য সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এক বছরে এদেশে আমদানি কমায় এখনও পর্যন্ত চিনের ক্ষতি হয়েছে ৩২.২৮ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে এবছর চিনের সঙ্গে ভারতের লেনদেন কমেছে প্রায় ১৮.৬ শতাংশ। এবার চিনা পণ্য আমদানির বদলে ভারতেই তৈরি হবে সেসবের বিকল্প।