নাড়ু হোক বা পিঠে, পায়েস হোক বা পাটিসাপ্টা : বাঙালির হেঁসেলে যেকোন রকমের মিষ্টান্ন তৈরিতে অপরিহার্য নারকেল। নারকেলের বৈজ্ঞানিক নাম কোকোস লুসিফেরা। ভারতের কৃষি অর্থনীতিতে নারকেল গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নারকেল থেকে তৈরি নারকেল তেল যা সাধারণত সাবান, চুলের তেল, প্রসাধনী এবং অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নারকেলের কুচি একটি ফাইবারের উৎস যা অন্যান্য বৃহত্তর শিল্পের কাঁচামাল। দেশের উপকূল সংলগ্ন মানুষের জীবনে এই গাছের ভূমিকা অপরিসীম।
বর্তমানে ফলন বৃদ্ধির ফলাফল হল হাইব্রিড নারকেল। নারকেল গাছের দুটি বৈচিত্র্যের মধ্যে সংকরায়ণের ফল হল এই হাইব্রিড নারকেল। বিশেষত, বামন এবং লম্বা, লম্বা এবং লম্বা জাতগুলির সংকরগুলি উচ্চ ফলনশীল নারকেল উৎপন্ন করতে সক্ষম। হাইব্রিড নারকেল পরিমাণ এবং গুণগত মানের দিক থেকে অধিক উন্নত। সাধারণত বাণিজ্যিক কারণেই রোপণ করা হয় হাইব্রিড নারকেল গাছ।
১৯৯১ সালে এদেশে কেরালের সেন্ট্রাল প্ল্যান্টেশন ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট সর্বপ্রথম ব্যাপক চাষের উদ্দেশ্যে বামন নারকেল গাছ রোপণ করে। এই গাছের নারকেল কমলা ত্বকের হয়। সম্পূর্ণ গোলাকার আকৃতির এই নারকেলে মিষ্টি স্বাদযুক্ত জল এবং শাঁসের পরিমাণ অধিক মাত্রায় থাকে। সাধারণত ১৬ ফুট উচ্চ হাইব্রিড নারকেলের গাছের গড় প্রত্যাশিত আয়ু ৫০ বছর।
সমীক্ষা বলছে, একবার নারকেল উৎপাদন শুরু করলে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে ফলন ঘটাতে সক্ষম হাইব্রিড নারকেল গাছ। বেশিরভাগ বামন জাতের মতো, গাছটি স্ব-পরাগায়ণে সক্ষম, তাই নারকেল তৈরির জন্য প্রয়োজন কেবলমাত্র একটিই গাছ! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাইব্রিড নারকেল গাছ ঝোড়ো বাতাস ও খরায় সংবেদনশীল, তাই ক্রমাগত আর্দ্র স্থান এই গাছের জন্য উপযুক্ত। কৃষি গবেষকরা বলছেন, ৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইট হাইব্রিড নারকেল গাছের জন্য আদর্শ।