সম্প্রতি ২০২০ সালে বলিউডে মুক্তি পেয়েছে ‘তানাজি’। সিনেমায় এক বীর যোদ্ধার ভূমিকায় দেখা গেছে অজয় দেবগণকে। অজয়ের ‘রিল-লাইফ’ স্ত্রী হিসেবে দেখা গেছে তাঁর ‘রিয়েল-লাইফ’ স্ত্রী কাজলকেই। সইফ আলী খান, অজয় ও কাজল দর্শকদের বাহবা কুড়িয়েছেন দক্ষ অভিনয়ের জন্য। কিন্তু এত প্রশংসার মাঝেও কি এমন হল যার জন্য কাজলের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল সইফকে!
বলিপাড়ার খবর অনুযায়ী, ‘তানাজি’-এর শ্যুটিং শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সপরিবারে সুইজারল্যান্ড পাড়ি দেন। সিনেমার প্রমোশন বাদ দিয়ে সইফের এই খোশমেজাজে ছুটি কাটানোকে মোটেই ভালো চোখে দেখেননি অজয়-পত্নী। একটি ট্যুইট বার্তায় কাজল সইফকে লক্ষ্য করে এও লেখেন যে, একদিনের জন্যও তুমি প্রমোশনে থাকনি। যদিও সেভাবে সইফের উপর রাগ দেখাননি কাজল। ট্যুইটারে কাজল আরও লেখেন, “‘ওমকারা’-এর সময়েও তুমি একইভাবে ঠকিয়েছিল, এখন আবার এমন করলে। আশা করি সুইজারল্যান্ডে বসে আমার ট্যুইট তোমার চোখে পড়বে।” যদিও কাজল-ঘনিষ্ঠদের দাবি, নিছক মজাচ্ছলেই কপট রাগ দেখিয়েছেন কাজল!
‘তানাজি’ সিনেমার নেপথ্য গল্প অনেকেরই অজানা। এক মারাঠি বীর তানাজি মালুসারে-এর জীবনীর উপর নির্ভর করে এই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সিনেমায় উদয়ভানের চরিত্রে অভিনয় করেন সইফ। অন্যদিকে রাজা ছত্রপতি শিবাজীর ভূমিকায় ছিলেন অভিনেতা শরদ কেলাকার। শরদ জানান, “যখন প্রথম পরিচালক আমাকে আমার চরিত্রের নামটি বলেন, আমি অভিভূত হয়ে পড়ি। এই মারাঠি বীরের কাহিনী কে না জানে!” যদিও কাজল-সইফের এই বাদানুবাদ নিয়ে বি-টাউনের বাকিদের মতোই সরাসরি মুখ খুলতে চাননি শরদ।