পুজোর আগেই খুশির খবর দিল ভারতীয় রেল। লকডাউন পর্বে সেই যে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, তা আজ অবধি চালু হয়নি ঠিক ভাবে। যার জেরে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আনলক পর্বে দোকানপাঠ, রেস্তোরা, শপিং মল খুললেও চলছে না লোকাল ট্রেন। এখনো পর্যন্ত হাতে গোনা কিছু স্পেশাল ট্রেন চলছে মাত্র। সেই নিয়মেই এল পরিবর্তন যা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু তা হলেও স্বস্তিদায়ক।
পুজো উপলক্ষ্যে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত চালানো হবে কিছু ফেস্টিভ্যাল স্পেশাল ট্রেন এমনটাই জানা যাচ্ছে ভারতীয় রেল সূত্রে। এর ফলে ট্রেনের জন্য উৎকণ্ঠায় থাকতে হবে না যাত্রীদের, ট্রেনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে বলে আশা বাদী রেল।
যেমনটা জানা যাচ্ছে এই স্পেশাল ট্রেনগুলির ভাড়া সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে ঠিক করা হবে, অর্থাৎ মধ্যবিত্তের পকেটে যাতে বেশি টান না পরে সেদিকে খেয়াল রাখার আশ্বাস মিলেছে রেলওয়ে দফতরসূত্রে। তবে এই ট্রেনগুলির টিকিটের দাম সাধারণত যা থাকে তার থেকে ১০-৩০ % পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্ভবত তৃতীয় শ্রেণীর টিকিটের ক্ষেত্রে ১০% অতিরিক্ত ও বাকি দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণীর জন্য ৩০% অতিরিক্ত বাড়তে পারে টিকিটের দাম। বহুমানুষ পুজোর সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে ট্রেনে সফর করেন, এই অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মনে করা হচ্ছে।
এই স্পেশাল ট্রেন গুলির সময় সূচি, উৎস ও গন্তব্য স্টেশন শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে এই স্পেশাল ট্রেনগুলি ৫৫কিমি/ঘন্টা বেগে চলবে যার ফলে যাতায়াতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এছাড়াও রেলেরনির্দিষ্ট জায়গা থেকে মিলবে টিকিট ফলে সাধারণ মানুষদের সুবিধা হবে।
এই স্পেশাল ট্রেন গুলির স্টেশনের মধ্যে থাকবে কলকাতা,পাটনা,লাখনৌ এর মত গুরুত্বপূর্ণ শহর। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে দেশে একর পর এক উৎসব আছে. দূর্গা পূজা থেকে শুরু করে ছোট পূজা অবধি সাধারণ মানুষের যাতে উৎসব উদযাপনে কোনো অসুবিধা না হয় সেই ভেবেই রেলের এই পদক্ষেপ।