দীর্ঘ জলঘোলা ও টানাপোড়েনের পর অবশেষে গ্রেপ্তারির ২৮ দিন পর বাইকুল্লা জেল থেকে মুক্তি পান রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত মামলায় মাদক যোগের অভিযোগে গত ৯ই সেপ্টেম্বর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো গ্রেপ্তার করে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। বুধবার, বম্বে হাইকোর্ট রিয়ার জামিন মঞ্জুর করলেও একাধিক শর্ত আরোপ করে অভিনেত্রীর উপর।
পুরোপুরি স্বস্তি মিলছেনা। মুক্তির পরেও বোম্বে হাইকোর্টের চাপানো প্রায় ৮টি শর্ত মেনে চলতে হবে রিয়াকে।
শর্ত ১-
আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনোরকম বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না রিয়া।
শর্ত ২-
তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা রাখতে হবে রিয়ার পাসপোর্ট।
শর্ত ৩-
এমনকি মুম্বইয়ের বাইরে পা রাখতে হলেও লাগবে আদালতের অনুমতি।
শর্ত ৪-
জেল থেকে বেরোনোর পরের ১০ দিন নিকটবর্তী থানায় গিয়ে বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে নিয়ম করে হাজিরা দিতে হবে রিয়াকে।
শর্ত ৫-
ড্রাগ মামলায় জামিন বাবদ ১লক্ষ টাকা দিতে হবে অভিনেত্রীকে।
শর্ত ৬-
মুক্তির প্রথম ৬ মাস সপ্তাহের প্রথম সোমবার গুলোতে তদন্তকারী সংস্থার কার্যালয়ে হাজির থাকতে হবে তাকে।
শর্ত ৭-
তদন্তের সাথে সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা নথি নষ্ট করলে হতে পারে কঠিন শাস্তি।
শর্ত ৮-
আদালতের নির্দেশ মেনে এজলাসে হাজির থাকতে হবে রিয়াকে, অনুপস্থিত থাকলে দর্শাতে হবে যথাযথ কারণ।
এদিকে, রিয়া জামিন পেলেও এখনো মুক্তি পাননি তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। এদিন রিয়ার সাথে জামিন পান পান সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং কর্মচারী দীপেশ সাওয়ান্ত।
প্রসঙ্গত, ১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। ২৫ জুলাই বিহারের রাজীব নগর থানায় রিয়া ও তাঁর পরিবারে বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, প্রয়াতের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা সহ একাধিক অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং।