সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই শোরগোল পরে গেছে গোটা দেশে। যতই তদন্ত এগোচ্ছে ততই নতুন তথ্য আর বিতর্কের সূত্রপাত হচ্ছে। সুশান্ত কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। রিয়ার দাবি ছিল চিকিৎসকের অনুমতি পত্র ছাড়াই সুশান্তকে ঔষধ দিতেন সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা। এই ভিত্তিতেই দায়ের হয় এফআইআর। এবার সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
গত ৭ই সেপ্টেম্বর সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। মুম্বাই পুলিশেরকমিশনার পরামবীর সিং জানান সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হচ্ছে তদন্ত পক্রিয়া। সুশান্তের দিদির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি বিনা প্রেসক্রিপশনে সুশান্ত রাজপুতকে ঔষধ দিতে শুরু করেন। দিল্লির এক হাসপাতালের কোনো এক বন্ধুর কথা মত নেক্সিটো, লিব্রিয়াম-সহ বেশ কিছু ওষুধ সুশান্ত কে খাওয়ার পরামর্শ দেন। অভিনেতা সুশান্তের মৃত্যুর পর সেই সম্পর্কিত হোয়াটস্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আসে। তারপরই শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে, যে কিভাবে সুশান্তের দিদি সে অসুস্থ জেনেও ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া তাকে ওষুধ দিতে শুরু করে। সেই নিয়ে উঠতে থাকে নানান প্রশ্ন।
অন্যদিকে AIIMS এর চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে,যেখানে বলা হয়েছে আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেতা সুশান্ত। অথচ কিছুদিন আগে ২২শে অগাস্ট AIIMS এর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডঃ সুধীর গুপ্তই দাবি করেছিলেন সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি, তাকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হবার পর কেন তিনি হটাৎ নিজের বক্তব্য পাল্টে নিলেন এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার শোরগোল।