সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তিন মাস কেটে গেছে। আর যত দিন যাচ্ছে ততই গাঢ় হচ্ছে মৃত্যু রহস্য। ইতিমধ্যেই, সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত তিনটি পৃথক মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই, ইডি এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আত্মহত্যা না খুন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই শুক্রবার সন্ধ্যায় এইমসের ফরেনসিক বিভাগে সুশান্তের ভিসেরা পরীক্ষা করা হয়।
এইমস সূত্রে খবর, সুশান্তের ভিসেরার নমুনা সংরক্ষণে রয়েছে গাফিলতি। যতটুকু সংরক্ষন সম্ভব হয়েছে তা ভিত্তিতেই এইমসের চিকিৎসকরা তাঁর ভিসেরা থেকে কিছু রাসায়নিকের অস্তিত্ব পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।১৪ জুন সুশান্তের দেহ উদ্ধার করে মুম্বই পুলিশ। এরপর তার দেহ কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতার। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এইমস-এর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা যখন তাঁদের কাজ শুরু করতে যান, তারা দেখতে পান রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ৭৫ শতাংশ ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। বাকি ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয়নি।যতটুকু সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটিও সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়নি বলেই অভিযোগ এইমসের।
অন্যদিকে, মুম্বাই পুলিশের একজন প্রবীণ আইপিএস কর্মকর্তা জানান, মৃত্যু সম্পর্কিত সমস্ত ফরেনসিক নমুনা, ডকুমেন্টারি প্রমাণ এবং অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য সম্ভাব্য সমস্তরকম প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি জানান, “এর আগেও আমরা বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল এবং ঝুঁকিপূর্ণ তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের মানের হিসাবে মুম্বাই পুলিশ পুরোপুরি পেশাদার।”