বলিউডের (Bollywood) এভারগ্রীন অভিনেত্রী রেখা (Rekha)। ৭০ এর দশক থেকে শুরু করে আজ অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা এতটুকু ম্লান হয়নি। যদিও বর্তমানে অভিনয়ের জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন অভিনেত্র্রী। তবে আজও তাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। অভিনয় থেকে শুরু করে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও একাধিক প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বলিউডের সবচাইতে চর্চিত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম রেখা।
রেখাকে নিয়ে বিটাউন থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক কিছুই শোনা যায়। তবে প্রত্যেকের মত অভিনেত্রীর না নিজস্ব কিছু কাহিনী রয়েছে যেটা তিনি ‘Rekha: The Untold Story’ নামক বইয়ের মধ্যে দিয়ে শেয়ার করেছেন। ছোট বেলাতেই ক্যামেরার সামনেই হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন রেখা। অপ্রীতিকর সেই ঘটনা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই এখনো অজানা।
সময়টা ছিল ১৯৬৯ সাল, রেখা তখন অনেকটাই ছোট, আজকের ভাষায় বলতে গেলে নাবালিকা। সেই সময়কার জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন বর্তমানের বুম্বা দা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মূলত বাংলা ছবিতে অভিনয় করলেও দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। সেবছর রেখার সাথে পরিচালক কুলজিৎ পালের ‘আনজানা সফর (Anjaana Safar)’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
রেখার লেখা বই থেকে জানা যায়, ছবিটি শুটিং হয়েছিল বোম্বের মেহবুব স্টুডিওতে। ছবির রোমান্টিক শুটিং চলাকালীন পরিচালক অ্যাকশন বলা মাত্রই রেখাকে কাছে টেনে নিয়ে ঠোঁটে চুম্বন করতে থাকেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এই বিন্দুমাত্র আগে থেকে জানা ছিল না অভিনেত্রী। সাথে সাথেই চমকে উঠেছিলেন রেখা।
প্রায় ৫ মিনিট মত চলে চুম্বনের এই দৃশ্য, মাঝে ‘কাট’ পর্যন্ত বলেননি পরিচালক। হটাৎ করে চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে ক্যামেরাম্যান থেকে ক্যামেরার পিছনের কর্মীরাও চমকে গিয়েছিলেন। হটাৎ করেই এভাবে চুমু খাবার ঘটনা সত্যিই বড় অশ্লীল ও সেই সময় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন রেখা। এমনটাই তিনি লিখেছেন নিজের জীবনকাহিনিতে।
সেই ভয়ংকর অনুভূতির পর লজ্জায় চোখের কোন দিয়ে জল পর্যন্ত বেরিয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। ছবির শুটিং ১৯৬৯ সালেই শেষ হয়েছিল কিন্তু মুক্তি পায়নি। সেই এমন একটা চুম্বনের দৃশ্য থাকায় সেন্সর বোর্ডে আটকে যায় ছবিটি। এর প্রায় ১০ বছর পর ১৯৭৯ সালে নাম পাল্টে ‘দো শিকারী (Do Shikaari)’ নামে রিলিজ হয় ছবিটি।