সারা বছর বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি করার পর ক্লান্তি চলে আসে অনেকের মধ্যে। একঘেয়ে এই রুটিন ভঙ্গ করতে তাই অনেকেই বেড়িয়ে পড়েন ঘুরতে (Travel)। বিশেষত ডিসেম্বর মাসের এই মনোরম আবহাওয়ায় বহু বাঙালি চলে যান পাহাড়ে। শীতকালে ধোঁয়া ওঠা দার্জিলিং টি হাতে কাঞ্চন-দর্শনের যে মজা তা ভাষায় বয়ান করা সত্যিই কঠিন।
এখন অবশ্য দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের মতো চেনা জায়গা ছেড়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষরা অফবিট নানান জায়গার (Offbeat Location) দিকে বেশি ঝুঁকছেন। আপনিও যদি অফবিট কোনও ট্রাভেল ডেস্টিনেশনের খোঁজে থেকে থাকেন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমনই একটি জায়গার খোঁজ নিয়ে এসেছি। তার নাম হল তিমবুরে (Timburey)।
শ্রীখোলা-সান্দাকফু রুটের অন্যতম সুন্দর ট্রাভেল ডেস্টিনেশন এটি। এখানকার জনবসতি বেশ কম। মূলত নেপালি জনগোষ্ঠী এখানে থাকে। ছোট্ট ছোট্ট কয়েকটি কাঠের বাড়ি, কিছু চাষের জমি আর পাশ দিয়ে বসে যাচ্ছে শ্রীখোলা নদী- মোটামুটি এই নিয়েই তিমবুরে।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ১২০০ টাকায় পৌঁছে যান ‘লাল কাঁকড়ার দেশে’! রইল কলকাতার কাছেই এই অফবিট সি বিচের হদিশ
শহরের কোলাহলের লেশমাত্র নেই এখানে। শান্ত পাহাড়ি গ্রাম বলতে আমাদের চোখের সামনে যে চিত্র ফুটে ওঠে, তিমবুরে একেবারে তেমন দেখতে। এমন মায়াবী পরিবেশে দু’দিন কাটালেই যেন দূর হয়ে যায় সারা বছরের ক্লান্তি।
আপনার যদি ছবি তুলতে ভালোলাগে এবং বার্ড ওয়াচিংয়ের শখ থাকে তাহলে তিমবুরে আসলে মন ভরে যাবে আপনার। এখানে নানান রকম হিমালয়ান পাখি দেখতে পাবেন আপনি। এছাড়া মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গেলে দেখা পাবেন টুকটুকে লাল রডোডেনড্রনের।
আরও পড়ুনঃ খরচ কম মজা বেশি! শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন কালিম্পংয়ের এই অফবিট পাহাড়ি গ্রাম থেকে, রইল ঠিকানা
কীভাবে যাবেন?
আপনি যদি ট্রেক করে যান, তাহলে সান্দাকফু থেকে গুরদুম হয়ে তিমবুরে পৌঁছতে হবে। গুরদুম থেকে এই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। আর নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে এলে আপনাকে শ্রীখোলা নামতে হবে। এরপর বাকি রাস্তা পায়ে হেঁটে তিমবুরে পৌঁছতে হবে। এখানে থাকার জন্য কিছু হোমস্টে এবং লজ রয়েছে। মাথাপিছু খরচ ১২০০ টাকা মতো।