সামনেই পুজো, আর এই সময় জামাকাপড়ের দোকান ছাড়াও আরও এক জায়গায় বেশ ভিড় জমেছে। সেটা হল সেলুনে (Saloon)। হ্যাঁ ছেলে হোক বা মেয়ে পুজোর আগে চুল কাটতে (Hair Cut) রীতিমত লাইন লেগে গিয়েছে সর্বত্র। কিন্তু জানেন কি চুল কেটেই রীতিমত কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। আজ কোটিপতি নাপিতের কথাই বলব আপনাদের।
কথায় বলে কোনো কাজই ছোট নয়। ছোটবেলার এই প্রবাদ বাক্যকে অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন রমেশ বাবু (Ramesh Babu)। একসময় কাগজ বিক্রি করতেন পরে শুরু করেন চুল কাটা। আর এতে করেই আম্বানিদের মত ঠাটবাট হয়ে গিয়েছে তাঁর। জানলে অবাক হবেন একটা দুটো নয় একসাথে ৪০০ এলাহী গাড়ির কালেকশন রয়েছে তাঁর কাছে।
আসলে ছোটবেলায় থেকেই সংগ্রাম শুরু হয়। মাত্র সাত বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে পরিবারের ভার সামলাতে ছোট বড় সব ধরণের কাজ শুরু করেন তিনি। শুরুতে খবরের কাগজ বিক্রি করতেন। এরপর ১৯৯০ সালে সেলুনে চুল কাটতে শুরু করেন। তবে এর পর ধীরে ধীরে গাড়ি ভাড়া দিয়ে ট্রাভেলিংয়ের ব্যবসা শুরু করেন। আর তাতেই কেল্লাফতে।
চুল কাটার পাশাপাশি ট্রাভেলিংয়ের ব্যবসা দিব্যি চলতে থাকে। জানলে অবাক হবেন বেঙ্গালুরুতে প্রথম রমেশ বাবুই প্রথম মার্সিডিজ গাড়ি ভাড়া দেওয়া শুরু করেন। এরপর একে একে বহুমূল্য গাড়ি তাঁর কালেকশনে জুড়তে থাকে। রোলস রয়েস থেকে মার্সিডিস মেব্যাচ, জাগুয়ার, বেন্টলি,ল্যান্ড রোভার, বিএমডাবলু এর মত অজস্র গাড়ি রয়েছে রমেশ বাবুর গ্যারেজে।
বলিউড সেলিব্রিটি থেকে ক্রিকেটার এমনকি মুকেশ আম্বানির মত বড় ব্যবসায়ীদের কাছেও রমেশ বাবুর মত গাড়ির কালেকশন নেই। বরং এই সমস্ত লোকেরা তাঁর থেকেই গাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে শিল্পপতি বা বলি তারকাদের যে গাড়ি থাকে তার ব্যাপার আলাদাই থাকে। কারণ সেলিব্রিটিরা নিজেদের ইচ্ছামত গাড়ি মোডিফিকেশন করিয়ে নেন। যেটা গাড়ির দাম আরও অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৭৫ টাকা দিয়ে চুল কাটা থেকে আজ ৪০০ বিলাসবহুল দামি গাড়ির মালিক হওয়া তো আর মুখের কথা নয়। বর্তমানে কর্ণাটকের বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আর যদি কখনো রামেশ বাবুর থেকে গাড়ি ভাড়া নেওয়ার ইচ্ছা হয় তাহলে তাঁর সংস্থার নামটি হল রমেশ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস।