জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকটি নিয়ে দর্শকমহলে চর্চার অন্ত নেই। বাস্তবভিত্তিক কাহিনী দেখিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যেই সিরিয়ালপ্রেমীদের মনে স্থান করে নিয়েছে এই সিরিয়াল (Bengali Serial)। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি আসার পর থেকেই শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছে শিমুল। স্বামী, দেওর, শাশুড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তার জীবন। তবে এবার শিমুল জয় করে নিল শাশুড়ি মন। প্রথমবার বড় বৌমাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেবে পরাগের মা!
‘কার কাছে কই মনের কথা’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, শাশুড়ির তীর্থে যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে শিমুল (Shimul) নিজের গয়না বন্ধক রেখেছে। এদিকের পর্বে দেখতে পাবেন, শিমুল তার শাশুড়ি মাকে সেই টাকা দিতে গেলে সে নিতে অস্বীকার করে। মধুবালা (Madhubala) ভাবে, শিমুল হয়তো তার প্রাক্তন প্রেমিকের কাছ থেকে সেই টাকা নিয়ে এসেছে।
শেষমেষ বাধ্য হয়ে শিমুল বলে দেয়, এই টাকা সে নিজের বাবার রোজগারে তৈরি গয়না বন্ধক রেখে নিয়ে এসেছে। একথা শুনে অবাক হয়ে যায় মধুবালা। নিজের ছেলেরা যেখানে তীর্থে যাওয়ার টাকা দেয়নি, সেখানে বাইরের মেয়ে হয়ে শিমুল নিজের গয়না বন্ধক রেখে দিল! মুখ ফুটে কিছু না বললেও শিমুলের এই ব্যবহারে মধুবালার মন অনেকটা গলে যায়।
এরপর শাশুড়িকে খাবারদাবার খাইয়ে তার জামাকাপড় গুছিয়ে দেয় শিমুল। যদিও মা তীর্থে যাচ্ছে দেখে ভীষণ অখুশি পরাগ (Parag) এবং পলাশ (Palash)। শিমুল এতগুলো টাকা কোথা থেকে পেল তা নিয়েও প্রশ্ন করে পরাগ। তখন মধুবালা জানিয়ে দেয়, শিমুল এই টাকা নিজের গয়না বন্ধক দিয়ে নিয়ে এসেছে।
অপরদিকে মধুবালার জামাকাপড় গুছিয়ে দেওয়ার কথা ছিল পলাশের হবু স্ত্রী প্রতীক্ষার (Pratiksha)। কিন্তু অফিসের মিটিংয়ে প্রতীক্ষার দেরি হয়ে যাওয়ায় শিমুল সেই কাজ করে দেয়। যদিও এই জিনিসটা ভালোলাগে না পলাশের হবু স্ত্রীর।
এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ শিমুল এবং প্রতীক্ষার মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলে। দর্শকদের অনুমান, মধুবালা এবার বুঝতে পারবে প্রতীক্ষা নয়, বরং শিমুলই বাড়ির যোগ্য বউ। এবার দেখা যাক, তীর্থ করে আসার পর কোন দিকে মোড় নেয় শিমুল এবং তার শাশুড়ির সম্পর্ক।