অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) বা চোখের ধাঁধা এমন একটি জিনিস যা আমাদের এক লহমায় ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ছোটবেলায় ধাঁধা সমাধান করে যে আনন্দ পাওয়া যেত, এখন অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধান করে অনেকেই সেই নিখাদ আনন্দ অনুভব করেন। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এটিকে একটি চ্যালেঞ্জের মতো করে দেখেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত চোখের ধাঁধা সমাধান করার একাধিক ভালো দিক রয়েছে। এতে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার উন্নতি হয়। সেই সঙ্গেই বুদ্ধির প্রখরতাও ঝালাই করে নেওয়া যায়। এছাড়া আপনি যদি নিজের আইকিউ লেভেল টেস্ট করাতে চান, তাহলেও অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধান করে দেখতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের চোখের ধাঁধায় কী আছে।
কী আছে আজকের চোখের ধাঁধায়?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি অপটিক্যাল ইলিউশন ব্যাপক ভাইরাল (Viral) হয়েছে। সেই ছবিতে ধু-ধু প্রান্তর (Field) ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, ছবিটি হয়তো একটি ধু-ধু প্রান্তরের। তবে টুইস্ট রয়েছে অন্য জায়গায়। ছবির ধু-ধু প্রান্তরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একটি চিতাবাঘ (Leopard)। সেটিকে খুঁজে বের করাই হল আজকের চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুনঃ ৯৯% লোকেই পারে না! ১২ সেকেন্ডে দু’টি মুরগির ছবিতে ৩টি পার্থক্য খুঁজতে পারলেই আপনি জিনিয়াস
হাতে সময় রয়েছে মাত্র ৬ সেকেন্ড
ভাইরাল এই চোখের ধাঁধা সমাধান করার জন্য ঘড়ি ধরে মাত্র ৬ সেকেন্ড সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে চিতাবাঘটিকে খুঁজে পেতে অধিকাংশ মানুষই ব্যর্থ হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, প্রায় ৯০% মানুষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধান করতে পারেননি। আপনি একবার চেষ্টা করে দেখুন তো পারেন কিনা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কোথায় লুকিয়ে রয়েছে চিতাবাঘটি
৬ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি যদি চিতাবাঘটি খুঁজে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার দৃষ্টিশক্তি সত্যিই বাজপাখির মতো প্রখর। তবে না পেয়ে থাকলেও হতাশ হবেন না। কারণ আমরা আপনার জন্য চিতাবাঘটিকে হাইলাইট করে দিচ্ছি। লাল রঙের বৃত্তটি যেখানে করা রয়েছে সেখানে তাকান, তাহলেই লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘটিকে দেখতে পাবেন। আশা করি এবার দেখতে পেয়েছেন?