Aditi Munshi Music Class : জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’র (SaReGaMaPa) হাত ধরে প্রচুর সঙ্গীতশিল্পীর উত্থান হয়েছে। এমনই একজন শিল্পী হলেন অদিতি মুন্সি (Aditi Munshi)। ‘সারেগামাপা’র মঞ্চে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। সুরেলা আওয়াজ এবং দুর্দান্ত গায়কীর মাধ্যমে জয় করে নিয়েছিলেন আট থেকে আশি সকলের মন। বাংলার আদি অকৃত্রিম কীর্তনকে নতুন রূপ দিয়েছিলেন তিনি।
কীর্তন গেয়েই বিচারক থেকে শুরু করে শ্রোতা- প্রত্যেকের মন জয় করে নিয়েছিলেন অদিতি। সেই বছর শোয়ের বিজেতাও হয়েছিলেন তিনিই। ব্যস, এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। দিন দিন বাড়তে থাকে অদিতির জনপ্রিয়তা। কীর্তন মানেই অদিতি- ব্যাপারটা অনেকটা এরকম হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও শো করতে থাকেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত এই কীর্তন গায়িকা। এসবের মাঝেই তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন অদিতি। এরপর রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। এখন রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক তিনি। তবে রাজনীতির কাজের মাঝেও সঙ্গীতচর্চা কিন্তু থামাননি অদিতি।
জনপ্রিয় এই গায়িকার নিজস্ব সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান (Music Institute) রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘সংগীতম কালচারাল অ্যাকাডেমি’। মনের মতো করে ‘সংগীতম’কে সাজিয়েছেন তিনি। আস্তে আস্তে নিজের সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানকে বড় করে তুলছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অদিতি জানান, ‘সংগীতম’এ অ্যাকাডেমিক এবং প্রোডাকশন বিভাগ রয়েছে। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই এখানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রফেশনাল ট্রেনিংও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ জন্মসূত্রে দক্ষিণ ভারতীয়, তবে বাংলা অন্ত প্রাণ! ঊষা উত্থুপ কেন ‘ক’ লেখা টিপ পড়েন জানেন?
তবে শুধু ছোট শিশুরাই নন, সব ধরণের মানুষের কথাই ভেবেছেন অদিতি। গায়ক বলেন, অনেক মায়েরা হয়তো গান শেখার কথা ভেবেছিলেন। তবে সাংসারিক চাপ অথবা অন্য কোনও কারণে শিখে উঠতে পারেননি। সেই মায়েদের জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে তাঁর সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানে। সেখানে তাঁরা চাইলে নিজেদের মতো করে গান বাজনা করতে পারবেন। পাশাপাশি আর্থিক চাপের জন্য যারা গান শিখতে পারছেন না তাঁদের জন্যও ভেবেছেন অদিতি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ‘সংগীতম’এ ভর্তি হওয়া যায় এবং সেখানে গান শেখার খরচটাই বা কত?
অদিতি জানান, ‘সংগীতম’এ ভর্তি হওয়ার অনলাইন প্রক্রিয়া আছে। প্রথমে সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ফোন নম্বরে (৯০৭৩২৯৫৮৪১) ফোন করতে হবে। তাহলে একটি অনলাইন ফর্মের লিঙ্ক পাঠানো হবে। সেটা ফিল আপ করে সেই নম্বরে আবার পাঠিয়ে দিতে হবে। এছাড়া যিনি গান শিখতে চান তাঁর একটি ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড করেও পাঠাতে হবে।
এরপর সেই অডিও এবং ভিডিও দেখেই নির্বাচন করা হয়। সেই সঙ্গেই অদিতি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য নূন্যতম একটি অর্থ জমা দিতে হয়। তবে অডিও এবং ভিডিও দেখে শিক্ষার্থী নির্বাচিত হলেই সেই অর্থ দিয়ে হয় বলে জানিয়েছেন গায়িকা।