বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন অভিনেতা হলেন টোটা রায় চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury)। যেমন হ্যান্ডসাম দেখতে, তেমনই তুখোড় অভিনয়- কোনও দিক থেকে কম যান না তিনি। তবে এত প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও কেরিয়ারের দিনগুলোয় তেমন সুযোগ পাননি টোটা। বেশ কয়েক বছর দাঁতে দাঁত চেপে শুধু স্ট্রাগল করে যেতে হয়েছে তাঁকে। এখন অবশ্য তাঁর প্রতিভার কদর করছে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি।
টোটা নামে গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হলেও অভিনেতার আসল নাম হল পুষ্পরাগ রায় চৌধুরী। প্রায় ৫০ বছর বয়স হতে চলল অভিনেতার। কিন্তু এই বয়সেও তাঁর হ্যান্ডসাম চেহারা দেখে বহু মেয়ের রাতের ঘুম উড়ে যায়। টোটা এত জনপ্রিয় হলেও তাঁর সুন্দরী স্ত্রী এবং মেয়েকে (Daughter) অবশ্য খুব বেশি মানুষ চেনেন না। টোটার মতো তাঁর স্ত্রী শর্মিলি (Sharmili Roy Chowdhury) এবং মৃগাক্ষীকে (Mrigakkhi Roy Chowdhury) দেখলেও চোখ ফেরাতে পারবেন না।
টোটা প্রথমে অভিনেতা হতে চাইতেন না। তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। তবে তাঁর ভাগ্য তাঁকে অভিনয় দুনিয়ায় নিয়ে আসে। বহু বাংলা সিনেমায় সাইড রোল এবং খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়করেছেন তিনি। প্রতিভা থাকলেও নায়কের চরিত্রে খুব একটা সুযোগ পাননি তিনি।
বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে সাধারণত মনে করা হয়, শিল্পীদের বয়স বাড়লে তাঁদের চাহিদা এবং কদর আস্তে আস্তে কমতে থাকে। তবে টোটার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা হচ্ছে। যত বয়স বাড়ছে ততই অভিনেতার চেহারার গ্ল্যামার বাড়ছে, ব্যক্তিত্বও আরও অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। অনেক মহিলার হার্টথ্রব হলেও, টোটার মনপ্রাণ জুড়ে শুধু রয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে।
টোটা-কন্যা মৃগাক্ষীর বয়স এখন সবে ১৭ বছর। সমাজমাধ্যমে খুজলে বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু ছবি দেখতে পাওয়া যায়। মা-বাবার মতোই মৃগাক্ষীকেও দেখতে ভীষণ সুন্দরী। এই মুহূর্তে নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত টোটা-কন্যা। তবে ভবিষ্যতে চাইলে বাবার দেখানো পথে হেঁটে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতেই পারেন তিনি।
সম্প্রতি টোটা ‘রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি’র হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ করেছেন। সেই ছবিতে আলিয়া অভিনীত রানী চরিত্রের বাবা চন্দন চ্যাটার্জির ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রথম বলিউড সিনেমাতেই নজর কেড়েছে টোটার অভিনয়। টলিউডের তো বটেই, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকাও ভূয়সী প্রশংসা করেছে এই বঙ্গ তনয়ের।