প্রথম সন্তান ইউভান হওয়ার পর থেকেই অভিনয় জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনটাকেও দারুন ব্যালেন্স করে চলছেন টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly)। বরাবরই ছেলে ইউভানের (Yuvan) প্রতি তিনি যেমন যত্নবান মা তেমনি অভিনয় জীবনেও চূড়ান্ত সফল রাজ ঘরণী। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই পরিচালক রাজ্ছ চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি ইউবানের ছবি দিয়ে জানিয়েছিলেন তাদের ছেলে ইউভানের নতুন প্রোমোশনের কথা।
প্রথম সন্তান ইউভানের বয়স তিন বছর হতেই তাঁর জন্য খেলার সঙ্গী আনতে দ্বিতীয়বারের জন্য মা হতে চলেছেন শুভশ্রী। তবে প্রেগন্যান্সিতেও কিন্তু কাজের দিক দিয়ে কোন ফাঁকি দিচ্ছেন না নায়িকা। তাই প্রেগন্যান্সির মধ্যেই চুটিয়ে কাজ করছেন নায়িকা। এই মুহূর্তে ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারক হিসাবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। গর্ভাবস্থায় কাজ করার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন ‘আমি একদম সুস্থ রয়েছি। চিকিৎসকের পরামর্শ মত কাজও করছি’।
কাজে বোঝাই যাচ্ছে সংসার সন্তান সামলানোর পাশাপাশি কেরিয়ারের ব্যাপারেও দারুণ ফোকাস নায়িকা। এই গোটা বিষয়টা ব্যালেন্স করার বিষয়ে সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টলি ডিভা বলেছেন ‘আমার কোনও অসুবিধা হয় না, কারণ আমার সঙ্গে আমার পরিবারের সকলের নিঃস্বার্থ সমর্থন রয়েছে’।
সেইসাথে অভিনেত্রীর সংযোজন ‘আমি যে কাজটা করি সেটা আমি ভালোবাসি, সেটা মন দিয়ে করি। আর ইউভানও বোঝে যে মা-কে কাজে যেতে হয়, সেটা ও সম্মান করে। দ্বিতীয় সন্তান এলে আমাদের পরিবার পূর্ণ হবে’। এমনিতে বরাবরই স্বামী রাজ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভশ্রী। এদিন পরিচালক তথা স্বামী রাজের গালভরা প্রশংসা করে নায়িকা বলেছেন ‘ও আমাকে সবসময় প্যাম্পার করে। পেশাগত আর ব্যক্তিগত জীবনের ব্যালেন্স বজায় রাখতে জানে রাজ’।
প্রসঙ্গত এদিন দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর দিনক্ষণ জানিয়ে কাজে ফেরার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন ‘কাজের ব্যাপারে আমি চুজি। যে অফার আসে, সেটাই গ্রহণ করি না, তার সঙ্গে প্রেগন্যান্সির যোগ নেই। আমার হাতে বেশ কিছু অফার রয়েছে, যে সব কাজ পরের বছর শুরু হবে। আমার প্রসবের তারিখ ডিসেম্বরে। যতদিন সম্ভব হবে কাজ করব, তারপর বিরতি নেব, কারণ ডেলিভারির পর শরীরকে সময় দিতে হবে পুরোপুরি সুস্থ হতে’।
আর দাদা হওয়ার প্রমোশন পেয়ে কি বলছেন একরত্তি ইউভেন?এপ্রসঙ্গে শুভশ্রী জানিয়েছেন, ‘ও এখনও পুরোটা বোঝেনি, ওকে জানিয়েছি ওর একটা ভাই বা বোন আসবে। কিন্তু কোথা থেকে আসবে সেটা বুঝতে পারছে না। মাঝেমধ্যে আমার পেটের দিকে আঙুল করে বলছে, মা ওটা তো পুরো বেলুন’।