বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা (Bollywood Actor) রয়েছেন যারা দশকের পর দশক কাজ করলেও কোনও বিতর্কে (Controversy) জড়াননি। চিরকাল বিতর্ক থেকে শত হাত দূরে থেকেছেন। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন যারা একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে নিজেদের কেরিয়ারটাই শেষ করে দিয়েছেন। কারোর বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ, কেউ আবার মাদক পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন। নিজেদের ভুলের জন্যই আজ বলিউডে দেখা যায় না এই অভিনেতাদের। চলুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের নাম।
শক্তি কাপুর (Shakti Kapoor)- ২০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করা বলিউডের জনপ্রিয় খলনায়ক শক্তি কাপুর একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, একজন মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার পরিবর্তে সেই মহিলাকে সিনেমায় কাজের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
শক্তির একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছিল। যা প্রকাশ্যে আসার পর বলিউড থেকে তাঁকে একপ্রকার বহিষ্কৃত করা হয়। যদিও অভিনেতা দাবি করেছিলেন, সেই ভিডিও ভুয়ো। বরং সেই মহিলাই নাকি তাঁকে বারংবার হুমকি দিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অভিনেতার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না মেলায় তাঁর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়া হয়।
ফারদীন খান (Fardeen Khan)- অভিনেতা ফিরোজ খানের পুত্র ফারদীন খানের নামও বিতর্কে জড়িয়েছিল যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁর কেরিয়ার। বলিউডে পা রাখার ৩ বছরের মধ্যেই মাদক মামলায় তাঁর নাম জড়ায়। ২০০১ সালে গ্রেফতার হন অভিনেতা। যদিও তিনি দাবি করেছিলেন, মাদক পাচারের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তবে এই ঘটনায় জড়ানোর পর থেকে ফরদীনের কেরিয়ারের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী হতে থাকে।
সাইনি আহুজা (Shiney Ahuja)- ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ সহ একাধিক সুপারহিট বলিউড ছবিতে অভিনয় করা সাইনি আহুজাকে এখন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দেখাই যায় না। ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ১৯ বছরের পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১১ সালে আদালতের তরফ থেকে অভিনেতাকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে অভিনয় জগত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন সাইনি।
বিবেক ওবেরয় (Vivek Oberoi)- ২০০২ সালে ‘কোম্পানি’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন বিবেক। খুব কম সময়ের মধ্যেই তুখোড় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি। তবে ২০০৩ সালে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেই নিজের কেরিয়ার শেষ করে দেন বিবেক।
সেই সাংবাদিক বৈঠকে বিবেক দাবি করেন, ঐশ্বর্যের সঙ্গে মেলামেশা করতেন বলে সলমন খান তাঁকে হুমকি দিতেন। শুধু তাই নয়, তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার ভয়ও দেখাতেন। এই সাংবাদিক বৈঠক ডাকার পরেই বিবেকের কেরিয়ার গ্রাফ নীচের দিকে নামতে শুরু করে। অনেকের মত, সলমনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলেই তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল।