বাংলা টেলিভিশনে (Television) এমন খুব কম অভিনেতাই রয়েছেন যারা নায়ক এবং খলনায়ক দুই চরিত্রেই নজরকাড়া অভিনয় করেছেন। এমনই একজন প্রতিভাবান অভিনেতা হলেন রোহিত সামন্ত (Rohit Samanta)। জি বাংলা এবং স্টার জলসার একাধিক জনপ্রিয় সিরিয়ালে তাঁকে দেখেছেন দর্শকরা। কখনও তাঁর নাম হয়েছে ‘অর্জুন’, কখনও আবার ‘জাম্বো’। তবে বেশ অনেকটা সময় হয়ে গেল পর্দায় দেখা নেই রোহিতের। অভিনয় ছেড়ে এখন অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন তিনি।
জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘বয়েই গেল’র (Boyei Gelo) হাত ধরে টেলি অভিনেতা হিসেবে পথচলা শুরু হয় রোহিতের। এরপর জি বাংলা, স্টার জলসা দুই চ্যানেলেই মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ করতে থাকেন তিনি। নায়ক হওয়ার পাশাপাশি পার্শ্ব চরিত্রেও রোহিতকে দেখেছেন দর্শকরা। ‘শ্রীময়ী’ (Sreemoyee) সিরিয়ালে ‘জাম্বো’ (Jambo) চরিত্রে তাঁর অভিনয় এখনও মনে আছে সকলের।
যদিও ‘শ্রীময়ী’র পর থেকে আর কোনও সিরিয়ালে দেখা যায়নি রোহিতকে। নায়ক, খলনায়ক, সাইড রোল মিলিয়ে দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে এক দশকেরও বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। ‘বয়েই গেল’য় যেমন নায়ক অর্জুনের চরিত্রে তাঁকে দেখেছিলেন দর্শকরা। অপরদিকে আবার ‘শ্রীময়ী’র জাম্বো চরিত্রে নেগেটিভ শেডস ছিল। পরবর্তীকালে যদিও তিনি সরে আসেন।
শুধু ‘বয়েই গেল’ এবং ‘শ্রীময়ী’ই অবশ্য শুধু নয়, রোহিত আরও বহু জনপ্রিয় সিরিয়ালে কাজ করেছেন। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ‘গানের ওপারে’, ‘সিঁদুর খেলা’র মতো ধারাবাহিকের নাম। রোহিত অভিনীত প্রত্যেকটি ধারাবাহিকই দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
বিশেষত ‘বয়েই গেল’ সিরিয়ালে অর্জুনের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রোহিত। জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর জুটি দর্শকদের দারুণ পছন্দ হয়েছিল। একসময় অভিনেতা হিসেবে অগুনতি দর্শকের মন জয় করলেও এখন শোনা যায় রোহিত নাকি অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন। বরং পেশা হিসেবে প্রযোজনাকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
রোহিত ইতিমধ্যেই ‘মিসিং ক্রু’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা খুলে ফেলেছেন। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকটি রোহিতের প্রযোজনা সংস্থারই ছিল। পাশাপাশি ‘গোরা’, ‘ইন্দু’, ‘মৌচাক’, ‘মোহমায়া’র মতো একাধিক জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজও প্রযোজনা করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে লেখিকা সাহানা দত্তের সঙ্গে কাজ করেন রোহিত। স্টার জলসায় এখন তাঁর প্রযোজনা সংস্থার দু’টি সিরিয়াল সম্প্রচারিত হয়। সেই দুই ধারাবাহিকের নাম হল ‘সন্ধ্যাতারা’ এবং ‘পঞ্চমী’।