স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকে সোনা (Sona)-রূপা (Rupa) অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন। দর্শকদের একাংশের মতে, এই দুই পুঁচকেই সিরিয়ালের প্রাণ। তাঁদের একদিন না দেখলেই মন কেমন করে সকলের। বেঙ্গল টপার এই ধারাবাহিকে সোনা-রূপার চরিত্রে অভিনয় করে বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে শিশু শিল্পী মিশিতা রায় চৌধুরী (Misheeta Ray Chowdhury) এবং সৃষ্টি মজুমদার (Srishti Majumder)।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, সিরিয়ালে (Bengali Serial) সোনা-রূপার বন্ডিং দারুণ মজবুত। সব সময় একে অপরের খেয়াল রাখে তাঁরা। কেউ কারোর কষ্ট দেখতে পারে না। তবে শুধু অনস্ক্রিনেই নয়, অফস্ক্রিনেও খুব ভালো বন্ধু এই দুই খুদে শিল্পী। বাস্তব জীবনেও সৃষ্টি এবং মিশিতার বন্ডিং ভীষণ স্ট্রং।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় দেখানো হচ্ছে, নায়ক-নায়িকা সূর্য-দীপার যমজ মেয়ে হল সোনা-রূপা। একজন মায়ের মতো চাপা গায়ের রঙ পেয়েছে, অপরজন বাবার মতো ফর্সা। তবে বাস্তব জীবনে সোনা অভিনেত্রী মিশিতার গায়ের রঙ চাপা নয়। বরং পর্দার দেখে একেবারেই আলাদা দেখতে তাঁকে।
সূর্য-দীপার ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলি দুনিয়ায় পথচলা শুরু হয়েছে মিশিতার। সৃষ্টিকে এর আগে বেশ কিছু প্রোজেক্টে দেখা গেলেও, মিশিতার এটাই প্রথম কাজ। তবে অভিনয়ের দিক থেকে এই দুই খুদেই বড়দের টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। দর্শকরা কখনও ‘হিংসুকুটি’ আর ‘পাতা মেয়ে’র খুনসুটি দেখে হেসে ওঠে, কখনও আবার তাঁদের চোখের জল দেখে কষ্ট পান।
এক কথায়, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সারা বাংলা জুড়ে এত জনপ্রিয়তার পিছনে সোনা-রূপা তথা মিশিতা এবং সৃষ্টিরও ব্যাপক অবদান রয়েছে। শোনা যায়, এই দুই খুদে শিল্পী সারাক্ষণ শ্যুটিং সেট মাতিয়ে রাখে। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে একটু সময় পেলেই তাঁদের সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠেন ধারাবাহিকের বাকি কলাকুশলীরা।
প্রসঙ্গত, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র গল্পে শীঘ্রই আসতে চলেছে একটা বিরাট টুইস্ট। ইতিমধ্যেই নিজের বাবার পরিচয় জেনে গিয়েছে রূপা। তবে এবার সোনাও আসল সত্যিটা জানতে চলেছে। সিরিয়ালের আসন্ন পর্বে দেখানো হবে রূপা সোনাকে বলবে, তুমি আমার যমজ বোন। একথা জানার পর সোনা-রূপা এবং সূর্য-দীপার সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এবার দেখার।